খড়দা, উত্তর ২৪ পরগনা :  খড়দার বিলকান্দায় একটি সভায় ফের সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)। মূলত,  গত কয়েকদিন ধরে দুর্নীতি ইস্যু (Corruption) নিয়ে বারবার মুখ খুলছেন তিনি। এবার সৌগত রায়ের দাবি, তৃণমূলের (TMC) দু’একটা লোক চুরি করেছে। তবে বেশিরভাগটাই ভাল। যদিও শাসকদলের নেতার এ ধরনের মন্তব্যকে রাজনৈতিক কৌশল বলেই মনে করছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে অস্বস্তি ঢাকতেই তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছে। এই ভাল-মন্দের তফাত কি মানুষ গ্রহণ করছে ? প্রশ্ন উঠছে।


সম্প্রতি, দুর্নীতি ইস্য়ুতে জেলায় জেলায়,' চোর ধরো, জেলে ভরো', স্লোগানে সরব হয় বিজেপি। সৌগত রায় বলেন,'আপনারা এই ভূল করবেন না। তৃণমূলের বিরুদ্ধে চোর ধরো, জেলে ভরো এই স্লোগানের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। তিনি বলেন, তৃণমূলে ৯৮ শতাংশ সৎ। ২ শতাংশ যদি দুর্নীতিগ্রস্থ হয়, আমরা তাঁদের বার করে দেব। সিপিএম, বিজেপি যদি আমাদের চোর বলে উত্যক্ত করে, তাহলে কিন্তু তৃণমূল কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না, আমরা রুখে দাঁড়ালে ওদের এলাকাছাড়া হতে হবে।' তবে সৌগত রায়ের এই মন্তব্যের পর পাল্টা নিশানাও করেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, সুজন চক্রবর্তী এদিন বলেন, 'যত দিন যাচ্ছে ততই সৌগত রায়ের মুখে হুমকি, ও দুষ্কৃতির সুর শোনা যাচ্ছে। এলাকায় থাকতে পারবেন না পর্যন্ত বলে দিলেন। ওনার এই ধরনের মন্তব্য বন্ধ করা উচিত। আবার নিজেই বলছেন ৯৮ শতাংশ সৎ, ২ শতাংশ চোর। আর তারপরেই সেই নামের তালিকা প্রকাশ করার কথা জানালেন সুজন চক্রবর্তী। অযথা বাড়তি কথা বলা অভ্যাষ হয়ে যাচ্ছে সৌগতবাবুর, সেটা ভালো লাগে না।'


আরও পড়ুন,  'শিক্ষায় দুর্নীতি', শহরে এসেই বলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান, মধ্যপ্রদেশে নজর দিতে পরামর্শ কুণালের


প্রসঙ্গত, রাজ্যে মুখ খোলা এবং মুখ খুলে বিস্ফোরক মন্তব্যের উদাহরণ ভুরিভুরি। সম্প্রতি কামারহাটিতেও  'অনুব্রত মণ্ডলের ভাষা' সৌগত রায়ের মুখে শুনতে পাওয়া যায়। বিরোধীদের নিশানা করে বেলাগাম হতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদকে। ‘তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে। তৃণমূলের সব চোর বলে মিছিল করলে পার্টি অফিসে ঢুকে যেতে হবে', কামারহাটিতে হুমকি সৌগত রায়ের। নাম না করে সৌগত রায়কেও সেসময় হুঁশিয়ারি দেন রাজ্য বিজেপির সম্পাদক সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, 'তৃণমূল নেতারা বলছেন বিজেপি কর্মীদের চামড়া দিয়ে জুতো বানাবেন। তাঁদের বলে রাখি, পায়ের মাপ আমরাও নিতে জানি। পায়ের মাপের সঙ্গে হাতের মাপও নেওয়া হবে। বিজেপির ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভেবে নেবেন না।’