আবির ইসলাম, বীরভূম: টানা বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে। তার জেরে বাড়ছে ভাঙন বিপদ। এমনই ছবি বীরভূমের ইলামবাজারে। জেলার ইলামবাজারের জয়দেবের ফেরিঘাটে রাস্তা বিস্তীর্ণ অংশের বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রবল বৃষ্টির কারণে সেখানে এবার ভাঙনের আতঙ্ক। তার জেরেই প্রবল ভোগান্তি বাসিন্দাদের।
কী ঘটেছে:
প্রবল বৃষ্টির কারণে ফেরিঘাটে ভাঙনের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দুই জেলার যাতায়াতের পথ। এই কারণে অনেক ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়ত করতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এলাকায় নজরদারি চলছিল। এবার তেমন একটা বৃষ্টি নেই। কিন্তু যেটুকু বৃষ্টি হয়েছে, সেখানেই প্রবল সমস্যা তৈরি হয়েছে। দুদিন ধরে বৃষ্টির কারণে রাস্তায় ভাঙন দেখা দেয়। তারপরেও ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। এরপর বেলা বাড়তে থাকে, বৃষ্টিও সমানতালে চলতে থাকে। তখনই দেখা যায় অজয় নদের জল বাড়তে শুরু করেছে। এরপরেই অস্থায়ী ফেরিঘাটের রাস্তায় একাধিক জায়গায় বড় বড় ভাঙন দেখা যায়। তারপরেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই রাস্তা দিয়ে আর যাতায়াত করতে দেওয়া হবে না। সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই রাস্তা। বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
রাস্তা বন্ধ হওয়ায় প্রবল সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বিস্তীর্ণ অংশের বাসিন্দারা। যদিও সমস্যা কমাতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এছাড়া নদীতে নৌকা নামানো হচ্ছে। অনেকটা পথ ঘুরে যাতায়াত যাতে না করতে হয় সেই কারণেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বারবার একই সমস্যা:
প্রতিবছরই কমবেশি এমন অসুবিধার সম্মুখীন হন জেলায় বাসিন্দারা। অজয়ের জল বাড়লেই এমন এলাকায় ভাঙনের সমস্যা দেখা যায়। সেই কারণে এই সমস্যায় স্থায়ী সমাধান করার দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। বারবার এই সমস্যায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। সমস্যা একেবারে বন্ধ করতে কাছেই পাকাপোক্তভাবে তৈরি হচ্ছে সেতু। দ্রুত সেই কাজ শেষ করার দাবি তোলা হয়েছে স্থানীয়দের তরফে।
আরও পড়ুন: ডাক্তার দেখাতে এসে মৃত্যু, মালদা মেডিকেলে মারা গেলেন যুবতী