সমীরণ পাল, মধ্যমগ্রাম: তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের সভাপতিকে নিয়ে বিতর্কে প্রকাশ্যে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।  প্রকাশ্যে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন দলের সাংসদ সৌগত রায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি।


সংগঠন এক, সভাপতি দুই। শনিবার মধ্যমগ্রাম, রবিবার বারাসাত। পরপর দু’দিন দু’জায়গায় তৃণমূল পরিচালিত শিক্ষক সংগঠনের দু’টি অনুষ্ঠান ঘিরে দানা বাঁধল বিতর্ক।  দুটি অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রেই নাম লেখা রয়েছে একই সংগঠনের। অথচ সভাপতি হিসাবে নাম রয়েছে দুই ব্যক্তির। 


শনিবার, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির আয়োজনে মধ্যমগ্রামের নজরুল মঞ্চে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় শিক্ষকদের। যে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে সংগঠনের সভাপতি হিসাবে নাম রয়েছে সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের।


অন্যদিকে, রবিবার একই সংগঠনের উদ্যোগে বারাসাতে বিদ্যাসাগর মঞ্চে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তার আমন্ত্রণপত্রে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকারের নাম রয়েছে সভাপতি হিসাবে। 


ঘটনাকে ঘিরে ফের প্রকাশ্যে শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দল। যা নিয়ে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই শনিবার ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল নেতা ও সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বললেন, আজ আমরা এসেছি সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে। কালও আছে এই অনুষ্ঠান। আমি তো অবাক হলাম একই সংগঠনের দুই সভাপতি হয় কী করে। আমি ব্রাত্যকে জিজ্ঞেস করব কী করে এই ঘটনা ঘটছে। শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষকদের সম্বর্ধনা দেওয়ার জন্য একটি সংগঠনের দুটি পৃথক অনুষ্ঠান হয় কী করে। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। গোটা বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাব।


পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আসলে কে? এনিয়ে তৃণমূলের অভ্যন্তরেই শুরু হয়েছে তরজা। উত্তর পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ২৪ পরগনায় জেলা সভাপতি সম্রাট চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি দীর্ঘদিন জেলা সভাপতি রয়েছি। দলের নিয়ম এক ব্যক্তি এক পদ। উনি প্রাথমিক উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। তাহলে কী করে উনি সভাপতি হন।


অন্যদিকে বারাসাতের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে নাম থাকা দেবব্রত সরকারের দাবি, সর্বসম্মতিক্রমেই তাঁকে দলের শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি করা হয়েছে। 


পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির দুই সভাপতি নিয়ে দ্বন্দ্বে দলের অভ্যন্তরে তরজা তুঙ্গে ওঠায় বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, আমি জানি সম্রাটই সভাপতি, দলে আলোচনা করে দেখব। কী ব্যাপার।


এখন দেখার, এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায়।