সমীরণ পাল, খড়দা: খড়দার পাতুলিয়ায় আবাসনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু। ঘরের মধ্যে জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু তিনজনের। 


মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট গৃহকর্তা। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট স্ত্রী, মাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট বড় ছেলে। পরিবারে একমাত্র বেঁচে ৪ বছরের ছোট ছেলে। 


খড়দার পাতুলিয়ার একটি আবাসনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বাবা-মা ও তাঁদের দশ বছরের সন্তানের। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় পরিবারে একমাত্র ৪ বছরের ছোট ছেলে বেঁচে রয়েছে। 


স্থানীয়দের দাবি, ঘরে জল জমে ছিল। মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন গৃহকর্তা। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন স্ত্রীও। বাবা-মাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় দশ বছরের বড় ছেলেও।


গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের বলরাম সেবামন্দির স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। 



টিটাগড়ে আবার দিদিকে টিউশনে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে, বছর চোদ্দর কিশোরের।  জলে ডোবা রাস্তায়, বিদ্যুতের তার পড়ে আছে, তা ঠাউর করতে পারেনি মৃত কিশোর। এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য বিদ্যুৎ দফতরের পাশাপাশি স্থানীয় মৎস্যজীবীদের দায়ী করছেন স্থানীয়রা।


অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে নৌকো করে ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার সময় ইলেকট্রিক তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ২ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ৩ জন। তাঁদের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে।  


পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক জানিয়েছেন, দুর্যোগের সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকার কথা। কীকরে তা চালু ছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতদের সরকারি নিয়ম মেনে আর্থিক সাহায্য করা হবে। এই ঘটনায় বিদ্যুত্‍ বণ্টন নিগমের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।  


আরও পড়ুন: পেটের টানে ত্রাণ নিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, মর্মান্তিক মৃত্যু জলমগ্ন মেদিনীপুরে


আরও পড়ুন: পাণ্ডুয়ায় মোবাইলে চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু যুবকের