সমীরণ পাল, হাবড়া: প্রভাব খাটিয়ে আবাস যোজনায় (Awas Yojona) ঘর নেওয়া হয়েছে পরিবারের ৫ সদস্যের নামে। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) দুই নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায়। শাসকদলের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। বিরোধীদের চক্রান্তের তত্ত্ব খাড়া করে দুর্নীতি-যোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
ফের আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ: দাদা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ, আর ভাই তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। ঝাঁ চকচকে, টাইলস বসানো বাড়ির দেওয়ালে আলো ঠিকরে পড়ে। বাড়ির মালিক উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত ও পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ নেহাল আলি। পাশেই পাকাবাড়ি উঠেছে নেহালের ভাই পৃথিবা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান কামাল হোসেনের। এই রকম বাড়িতে যাঁদের বাস, আবাস যোজনার ঘর নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধেই।
একটি বা দুটি বাড়ি নয়, অভিযোগ, নেহাল আলি ও তাঁর ভাই কামাল হোসেন প্রভাব খাটিয়ে তাঁদের স্ত্রী, বাবা, ভাই, ভাইপো-সহ ৫ জনের নামে আবাস যোজনায় ঘর নিয়েছেন। আর তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন আসল দাবিদাররা। এ নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। বারাসাত সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, “হাবরা এক নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে তৃণমূলের নেতা নেহাল আলি বিরুদ্ধে স্বজন পোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগে আমরা ডেপুটেশন জমা দিয়েছি। আর এইভাবে দুর্নীতি চলতে থাকলে আগামী দিনে হাবরা এক নম্বর বিডিও অফিসের কার্যকলাপ থমকে দেবে বিজেপি। তৃণমূলের নেতা নেহাল আলির পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আইন অমান্য আন্দোলন করবে বিজেপি।’’
বিরোধীদের বিরুদ্ধে চক্রান্তের তত্ত্ব খাড়া করে দুর্নীতি-যোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। হাবড়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি পূর্ত পরিবহন দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ নেহাল আলির দাবি,তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য ওই ঘরের যোগ্য দাবিদার ছিল। বিপিএল তালিকায় পরিবারের সদস্যদের নাম থাকায় ঘর পেয়েছেন। দলের একাংশ রয়েছে তারা তাকে কালিমা লিপ্ত করার জন্য বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই ধরনের দুর্নাম করে বেড়াচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দলের নেতাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন হাবড়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। যদিও তাঁর দাবি মানতে নারাজ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: বুধবার শুভেন্দু অধিকারীর দেওয়া ডেডলাইনের তৃতীয় দিন