সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : এক মেলা। দুই দাবিদার। বাদুড়িয়ায় মেলার আয়োজন নিয়েও প্রকাশ্যে চলে এল শাসকদলের কোন্দল। তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির ছবি দেওয়া ভিন্ন ভিন্ন ফ্লেক্স ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিরোধীরা। নিয়ম মেনেই অনুমতি দেওয়া হবে। জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।


প্রকাশ্যে চলে এল শাসকদলের কোন্দল: মাঠ একটাই, মেলাও বসার কথা একই দিনে। কিন্তু উদ্যোক্তা কারা? তা নিয়েই ধন্দ দেখা দিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায়। সেই সঙ্গে ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে, তৃণমূলের বিভাজন। নেপথ্যে দুই ব্যানার। ২১ ডিসেম্বর থেকে বাদুড়িয়ার দিলীপ স্কুল ময়দানে মেলা হওয়ার কথা। কিন্তু, তৃণমূলের দুই নেতার নামে একই মেলার দুই নামে, ব্যানার-ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে এলাকায়।


বাদুড়িয়ার তৃণমূল বিধায়ক কাজি আব্দুর রহিমের নামে যে ফ্লেক্স রাস্তার ধারে লাগানো হয়েছে, তাতে মেলার নাম ‘সম্প্রীতির ভারত মেলা।’ সেখানে লেখা রয়েছে মেলা চলবে ২১ ডিসেম্বর থেকে পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত। অন্যদিকে, তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ ও বাদুড়িয়া উত্তর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বুরহানুল মুকাদ্দীমের ছবি দেওয়া ফ্লেক্সে মেলার নাম রয়েছে ‘সম্প্রীতি মেলা’। যে মেলা চলবে ২১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শুধু ব্যানার-ফ্লেক্সে নয়, মেলার আয়োজন নিয়েও ভিন্ন দাবি করেছেন তৃণমূলের দুই পক্ষ।


বাদুড়িয়ার তৃণমূল বিধায়ক কাজি আব্দুর রহিম বলেন, “গত ১৭ বছর একই তারিখে দিলীপ স্কুল মাঠে ভারত মেলা করে আসছি। কংগ্রেসে থাকাকালীন ভারত মেলা শুরু করেছিলাম।’’ বাদুড়িয়া ব্লকের তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান শাহনওয়াজ সর্দার বলেন, “প্রাক্তন পুরপ্রধান তুষার সিংহ সম্প্রীতি মেলা শুরু করেছিলেন। তুষার সিং এর মৃত্যুর পর দু বছর লিটনের নেতৃত্বে এই মেলা হয়েছে।’’ যদিও মেলা নিয়ে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়ম মেনেই মেলার অনুমতি দেওয়া হবে। সঠিক নথিপত্র দেখিয়েই মেলার অনুমতি নিতে হবে।


এদিকে, নতুন অঞ্চল সভাপতি ঘোষণার পর থেকে, কোচবিহারের মাথাভাঙায়, তৃণমূলের অন্দরে অশান্তি লেগেই রয়েছে। দলীয় কর্মীদের ক্ষোভ প্রশমনে এবার উদ্যোগী হল জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূল সূত্রে খ‍বর, আলোচনার মাধ্যমে ক্ষোভ না মিটলে, শোকজ করা হবে বিক্ষুব্ধদের।


আরও পড়ুন: Siliguri News: বাড়ির শৌচাগারে মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ, রেললাইনে প্রতিবেশীর দেহ, জোড়ামৃত্যু ঘিরে রহস্য