সমীরণ পাল, বারাসাত: বারাসাত ও হাবড়া (Barasat Habra Bus Service) রুটে চলছে না পর্যাপ্ত সরকারি বাস। নাকাল যাত্রীরা। একদিকে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, অন্যদিকে মিলছে না বিকল বাসের যন্ত্রাংশ। তাই বারাসাত ও হাবড়া ডিপোয় পড়ে রয়েছে একাধিক বাস বলে সূত্রের খবর। দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর।


অমিল পর্যাপ্ত সরকারি বাস: একে জ্বালানির আগুন দাম। তার ওপর মিলছে না বাসের যন্ত্রাংশ। যার জেরে বারাসাতের WBTC ডিপোয় পড়ে রয়েছে বহু সরকারি বাস। পর্যাপ্ত সরকারি বাস রাস্তায় না চলায় চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। এক যাত্রীর কথায়, “প্রাইভেট বাসে ভাড়া বেশি, তাই সরকারি গাড়ি ভরসা, কিন্তু সরকারি গাড়ি মিলছে না।’’ WBTC সূত্রে খবর, যন্ত্রাংশ না মেলায় বিকল হয়ে পড়ে থাকা বহু বাস সারানো যাচ্ছে না। তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণেও চালানো যাচ্ছে না অনেক বাস। স্থানীয় রুটে যেখানে ২৫টি বাস চলত, এখন চলছে মাত্র ১২টি। বারাসাত-দিঘা রুটেরও অনেক বাস চালানো যাচ্ছে না। বন্ধ অনলাইন বুকিং।


বারাসাতের ক্যালকাটা ট্রাম মজদুর সভার সম্পাদক শান্তনু বসাক বলেন, “তেল নেই, স্পেয়ার পার্টস না থাকায় বাস চালাতে সমস্যা হচ্ছে।’’ বারাসাতের মতো একই সমস্যা হাবড়া WBTC ডিপোতেও। WBTC সূত্রের আরও খবর, দেড় মাস ধরে বন্ধ হাবড়া থেকে তারাপীঠ, বকখালি, দিঘা, দুর্গাপুর, আসানসোল যাওয়ার সরকারি বাস। পর্যাপ্ত বাস না থাকায় সমস্যায় অন্যতম হাবড়া-নৈহাটির মতো গুরুত্বপূর্ণ রুটের যাত্রীরা।


হাবড়া ডিপোয় যে সব দাঁড়ায়, তাদের জ্বালানি ভরতে যেতে হয় বারাসাত WBTC ডিপোতে। যার দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। যেখানে তেলের দাম বাড়ার কারণে, বাস বসে যাচ্ছে, সেখানে ২৫ কিমি যাওয়া-আসা করে তেল ভরাও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে, সরকারি বাসকর্মীদের সংগঠন। সমস্যার কথা মেনে নিয়ে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “তেলের দাম বাড়ায় সমস্যা বেড়েছে। তবে দ্রুত সমস্যার সমাধান করব, ঠিকঠাক ভাবে সব রুট চালু করব।’’ কবে হবে সমস্যার সমাধান, কবে রাস্তায় নামবে পর্যাপ্ত সরকারি বাস। এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে যাত্রীদের মনে।


আরও পড়ুন: Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় তৎপর পুরসভা, বাড়ির জমিতে আবর্জনা জমায় খোদ মেয়র পারিষদকেই নোটিস