সমীরণ পাল, ব্যারাকপুর: ব্যারাকপুরে (Barrackpore Incident) সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ধৃত ২ জন সম্পর্কে মামা ও ভাগ্নে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৪ মে, আনন্দপুরীর সিংহ জুয়েলারি হাউসে ডাকাতির সময় মামা জামশেদ আনসারির সঙ্গেই ছিল ভাগ্নে সফি খান। পুলিশের দাবি, মামা-ভাগ্নে মিলে ব্যারাকপুর ও হাওড়ার একাধিক জায়গায় ডাকাতির ছক কষে। ভাগ্নে সফি কামারহাটির বাসিন্দা হলেও জামশেদের বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। কোথায় কোথায় ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল, ধৃতদের কাছ থেকে তা জানার চেষ্টা চলছে।


দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, তার মধ্যেই ছুটে এল কয়েকটা গুলি। মাত্র ৯৭ সেকেন্ডের অপারেশন। অকালে ঝরে গেল ২৭ বছরের এক তরুণের প্রাণ। বিয়ের মাত্র ৭ মাসের মধ্যেই স্বামীহারা হলেন স্ত্রী। ছেলেকে হারালেন বাবা-মা। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের এই হাড়হিম করা ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজ্যে। ঘটনার ২ দিন রহড়া ও বীরভূমের মুরারই থেকে ২ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্পর্কে তাঁরা মামা-ভাগ্নে।


ধৃতদের জেরা করে হাতে এসেছে চাঞ্চল্যেকর তথ্য।পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার প্রখমে হাওড়ার কদমতলা এলাকার এই সোনার দোকানে হানা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ডাকাতদের। তার জন্য ১৮ মে, রেকি করতে ওই দোকানে যায় ২ দুষ্কৃতী। বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল ২ জন। ৫০০ টাকা দিয়ে একটি রুপোর চেন কেনে তারা। অলি-গলি, রাস্তা দেখে আসার পর, ২৪ মে, প্রথমে কদমতলার সোনার দোকানের বাইরো জড়ো ডাকাতরা। কিন্তু সেই সময় ক্রেতার ভিড় থাকায়, ডাকাতির ছক বানচাল হয়ে যায়। শুক্রবার ধৃতদের নিয়ে কদমতলার এই সোনার দোকানে আসেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পদস্থ কর্তারা। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। দোকানের মালিক জানিয়েছেন, বছর দশেক আগেও তাঁর দোকানে ডাকাতি হয়। এবার ক্রেতাদের ভিড়ই ডাকাতির ছক বানচাল করে দেয়।

হাওড়ার দোকানে ডাকাতির ছক বানচাল হয়ে যাওয়ার পরই ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে সিংহ জুয়েলারি হাউসে অপারেশন চালায় ডাকাতরা। সেই ঘটনায় শুক্রবার রহড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় সফি খান ওরফে সানিকে এবং জামশেদ আনসারি নামে আর একজনকে গ্রেফতার করা হয় বীরভূমের মুরারই থেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৪ মে, আনন্দপুরীর সিংহ জুয়েলারি হাউসে ডাকাতির সময় মামা জামশেদ আনসারির সঙ্গেই ছিল ভাগ্নে সফি খান। ব্যারাকপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ছেলেকে খুনের প্রতিবাদে এদিন ব্যারাকপুর ও পলতায় সোনার দোকান বন‍্ধের ডাক দিয়েছে ব্যবসায়ী সমিতি। এর পাশাপাশি, আনন্দপুরী এলাকায় সমস্ত দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।


আরও পড়ুন: Lifestyle: শুধু বাইরে নয়, ঘরেও দরকার সান স্ক্রিন, মানেন অনেকেই