সমীরণ পাল, বারাসাত (উত্তর ২৪ পরগনা) : বাংলায় এসে রহস্যমৃত্যু গুজরাতের ব্যবসায়ীর। সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে একটি হোটেল থেকে অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। বারাসাত সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। কীভাবে মৃত্যু, জানতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীর নাম মহেশ কুমার রামপ্রসাদ আগরওয়াল। বয়স ৫২। তিনি গুজরাতের সুরাতের বাসিন্দা।


হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী গত ৬ নভেম্বর হোটেলে উঠেছিলেন। সোমবার সকালে হোটেল ছাড়ার কথা ছিল। এদিন সকালে ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ না পেয়ে ফোন করা হয় পুলিশকে। বারাসাতের যে হোটেলে গুজরাতের ওই ব্যবসায়ী উঠেছিলেন সেই হোটেলের ম্যানেজার বলেছেন, '৬ তারিখ এসেছিলেন। বলেছিলেন ব্যবসার কাজে এসেছি। দুদিনের বুক করে টাকা দিয়ে দেন। দু’দিন ধরে  নিচে নামেননি। আজ পুলিশ উদ্ধারের সময় বেঁচেছিলেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান।' কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল ওই ব্যবসায়ীর? অসুস্থতা থেকে মৃত্যু না কি আত্মহত্যা, না নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে- তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। 


আরও পড়ুন- বেলঘরিয়ায় অভিজাত আবাসনে তরুণের রহস্যমৃত্যু, খুনের অভিযোগ পরিবারের


কিছুদিন আগে বালিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে জওয়ানের রহস্যমৃত্যু হয়েছিল। ক্যাম্পের জঙ্গল থেকে গলায় তার জড়ানো অবস্থায় উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, মৃতের নাম অশোক গারাগাদ। বাড়ি কর্ণাটকে। গতকাল রাতে সেনা ক্যাম্পের জঙ্গল থেকে ওই জওয়ানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছিল বালিগঞ্জ থানার পুলিশ। দেহের কাছ থেকে মিলেছিল হিন্দিতে লেখা সুইসাইড নোট। পুলিশ সূত্রে খবর, বছর ছত্রিশের ওই জওয়ানের উত্তরবঙ্গে কর্মরত ছিলেন। বদলির পর ৫ অক্টোবর কলকাতায় আসেন। সুইসাইড নোটটি কার লেখা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


আরও পড়ুন- পঞ্চমীতে নরেন্দ্রপুরে নৃশংস 'হামলা', নবমীতে হাসপাতালে মৃত্যু যুবকের