সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: খড়দায় (Khardah) একই পরিবারের ৪ জনের পচাগলা দেহ উদ্ধার। বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার দম্পতি ও ২ সন্তানের পচাগলা মৃতদেহ। পুলিশের অনুমান, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী। 


পচাগলা দেহ উদ্ধার: ছুটির দিনে খড়দায় একই পরিবারের ৪ জনের দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য। পুলিশের অনুমান, অন্তত ২ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহর পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সুইসাইড নোট। সূত্রের খবর, স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সন্দেহে অশান্তির জেরে খুন বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ করা হয়েছে। যাবতীয় সম্পত্তি কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দান করে দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে সুইসাইড নোটে।       


কীভাবে মৃত্যু? 


পুলিশ সূত্রে খবর, সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক মানতে পারিনি। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। রবিবার সকালে এই ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় উত্তর ২৪ পরগনার খড়দার মধূসুদন মুখার্জি রোড চত্বরে। মৃত্যু হয়েছে, ব্যারাকপুরে চিড়িয়া মোড়ের কাপড়ের ব্যবসায়ী বছর ৫০-এর বৃন্দাবন কর্মকার, তাঁর স্ত্রী ও ১৬ বছরের মেয়ে ও ৮ বছরের ছেলের। প্রতিবেশীদের দাবি, বৃহস্পতিবার সন্ধের পর আর তাঁদের দেখা যায়নি। রবিবার সকালে সন্দেহ হওয়ায়, ডাকাডাকি শুরু করেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।      

দরজা ভাঙতেই উদ্ধার হয় দম্পতি ও ২ সন্তানের পচাগলা মৃতদেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রী দেবশ্রী কর্মকার ১৬ বছরের মেয়ে দেবলীনা কর্মকার ও ৮ বছরের ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। শোওয়ার ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল স্ত্রী ও ২ সন্তানের মৃতদেহ। পাশের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় গৃহকর্তা বৃন্দাবন কর্মকারকে। পরিবারের দাবি,গত ১০ বছর ধরে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না বৃন্দাবন কর্মকারের। সকলের অজান্তেই আদর্শপল্লীর পৈত্রিক বাড়ি বিক্রি করে দিয়ে, মধূসুদন মুখার্জি রোডের ভাড়ার ফ্ল্যাটে ওঠেন। এই তো ক'দিন আগেই, কালীপুজোর আনন্দে সামিল হয়েছিলেন। তার মধ্য়েই কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ। পুলিশ সূত্রে খবর, সুইসাইড নোটে যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দান করে দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন গৃহকর্তা।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ছট পুজো উপলক্ষে সোমবারও ছুটি, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর