সমীরণ পাল, বারাসাত: নিম্নচাপের জেরে টানা একনাগাড়ে বৃষ্টিতে টুইটুম্বুর ভেড়ি। জলের পরিমাণ এতটাই বেড়ে গেছে যে মাছ চাষের ভেড়ির জল ও খালের জল মিলেমিশে একাকার। 


ভেড়ির জল উপচে রাস্তায় চলে এসেছে। আর তাতেই কার্যত জাল ফেলে মাছ ধরতে ব্যস্ত এলাকার যুবকরা। এদিকে মাথায় হাত মৎস্য চাষীদের। 


উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ২ ব্লকের শাসন, খড়িবাড়ি, আমিনপুর, কামদুনি সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মাছ চাষ করা হয়। নিম্নচাপের জেরে একনাগাড়ে বৃষ্টির ফলে ভেড়ির জল বেড়েছে। 


জলে ঢেকেছে ভেড়ির বাঁধ। ভেড়ির জলের সঙ্গে খালের জলও মিশে গেছে। বেরিয়ে যাচ্ছে ভেড়িতে থাকা লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ। আর তাতেই মাথায় হাত শাসনের মৎস্য চাষীদের। 


পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন খালগুলি সংস্কার করা হয় না বলে অভিযোগ। এরফলেও ভোগান্তি বাড়ছে মৎস্য ব্যাবসায়ী থেকে স্থানীয়দের। 


এই নিয়ে ক্ষুব্ধ শাসনের ভেড়ি ব্যবসায়ীরা। কার্যত ক্ষতির সম্মুখীন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। একদিকে ভেড়ির খাজনা, মাছের খোরাকের দাম। পাশাপাশি ভিন জেলা ও রাজ্যের মাছের আমদানি। যে দামে মাছের পোনা ফেলছে সেই দামেই নাকি মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে, এমনটাই দাবি ভেড়ি ব্যবসায়ীদের। 


লকডাউনের পর থেকে সেভাবে মিলছে না মাছের দাম। মাছ চাষ করে লোকসানের মুখে শাসনের ভেড়ি ব্যবসায়ীরা। আবার তার উপরে নিম্নচাপের অকাল বৃষ্টি। যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া ভেড়ি ব্যবসায়ী ও মৎস্য চাষীদের।


এদিকে, সোমবার রাতের পর আর বৃষ্টি না হলেও এখনও জল থৈ থৈ উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড। বহু বাড়ির একতলা জলমগ্ন। কোথাও হাঁটু সমান জল, তো কোথাও প্রায় কোমর অবধি। অভিযোগ, প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি। বিন্দুমাত্র কমেনি জল-দুর্ভোগ।


প্রতিবাদে, মঙ্গলবার সকাল থেকে আপনপল্লি, শরত্ পল্লির বাসিন্দারা হৃদয়পুরের নেতাজি সুভাষ রোড অবরোধ করে, বিক্ষোভ শুরু করেন। আটকে পড়ে যানবাহন। বিক্ষোভ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাসিন্দারা। 


আরও পড়ুন: পৌষমাস-সর্বনাশ! ইয়াসে কারও ভেসেছে ভেড়ি, কেউ রূপনারায়ণে ধরছেন চিংড়ি


আরও পড়ুন: পুকুরে বিষ মিশিয়ে মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ, লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি মৎস ব্যবসায়ীর