উত্তর ২৪ পরগনা: তৃণমূল কাউন্সিলারের অফিসে ডেকে, বিজেপি (BJP) কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল কেষ্টপুরে (Kestopur)। 'আখের রসের মেশিনে ঢুকিয়ে মুড়ে দেব ', কর্মীরা আক্রান্ত হওয়ার পর হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা। মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে, পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও (TMC)। বিজেপি কর্মীর পারিবারিক বিবাদ মেটাতে অফিসে ডেকেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর।সেখানেই বিজেপি যুব নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল! 


'প্রকাশ্যে পাবলিক প্লেসে মেরে অজ্ঞান করে দিলেন', অভিযোগ বিজেপি নেতার 


অন্যদিকে অশান্তি, শ্লীলতাহানির অভিযোগে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করল তৃণমূলও। সোমবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় কেষ্টপুরে। বিজেপির দাবি, পারিবারিক বিবাদ মেটানোর কথা বলে, তাদের এক কর্মীকে পার্টি অফিসে ডেকেছিলেন বিধাননগরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ নাগ। সেখানেই বিজেপির কয়েকজন নেতা-কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হয়েছেন রাজারহাট নিউটাউন মণ্ডলের বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক-সহ দু-তিনজন। বিজেপি নেতা বিকাশ বিশ্বাস বলেন,'রাজীবের কিছু একটা পারিবারিক সমস্যা নিয়ে বিচার ডেকেছিল। ওই পৌরপিতার অফিসে গেলাম, আমি ভিতরে যেই ঢুকলাম, উনি চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে বলছেন, তোর নেতাগিরি ছুটিয়ে দেব, চড়-থাপ্পর মারলেন। প্রকাশ্যে পাবলিক প্লেসে মেরে অজ্ঞান করে দিলেন।'


'অভিযোগ ভিত্তিহীন', বললেন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর


এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে, বিজেপির যুব নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেই অশান্তি, গালিগালাজ, শ্লীলতাহানির অভিযোগে বাগুইআটি থানায় FIR দায়ের করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। বিধাননগর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ নাগ বলেন,'আমি কাউকে ডাকিনি, আমার পার্টি অফিসের বাইর মহিলাদের সঙ্গে গন্ডগোল হওয়ায় আমি বেরিয়ে এসে বারণ করি, ওরা যে বিজেপি করে জানি না। অভিযোগ ভিত্তিহীন। 'এদিকে দলীয় কর্মীরা আক্রান্ত হওয়ার পরই, হুমকির সুর শোনা গেছে এক বিজেপি নেতার গলায়।


আরও পড়ুন, 'বিজেপি নেতা'-র বিরুদ্ধে 'গরুপাচারের' অভিযোগ, 'পুলিশের ভূমিকা' নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূল বিধায়কের


বিরোধী সঙ্গে না হলেও, পুজোর আগে একাধিকবার সংঘর্ষে জডিয়ে পড়ার খবর আসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।   ২ নেতার অনুগামীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’পক্ষের একাধিক জন আহত হন। আহতদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কামারহাটি ESI হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানেই শেষ নয়, দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ করে। যদিও কামারহাটি থানা  সেই অভিযোগ স্বীকার করেনি। এলাকা দখল ও তোলাবাজির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় সেসময় উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে। দলের এক নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধেই তোলাবাজি ও হামলার অভিযোগ তোলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। সংঘর্ষে জখম হন দলের কয়েকজন কর্মীও। কামারহাটি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অভিযোগ, গুড্ডু নামে আরেক তৃণমূল কর্মীর অনুগামীরা এলাকায় তোলাবাজি করে। যাকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে ক্রিক স্ট্রিটে সংঘর্ষে জড়ায় দুই গোষ্ঠী।