উত্তর ২৪ পরগনা: থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি (Threats) এবার বিজেপি বিধায়কের (BJP Leader) । বিজেপির উপর হামলার অভিযোগ, পুলিশকে গাছে বেঁধে রাখার দাওয়াই। অশোকনগর থানা (Ashoknagar Police Station) পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক। বিডিও অফিসে হামলা, চেলাকাঠ দিয়ে মারধরের হুমকির পরে ফের হুমকি এরকম মুখেই বলে, এটাই ওদের সংস্কৃতি, কটাক্ষ বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। 'ওসি, আইসির মাথা ফাটিয়ে দিন, আমরা বুঝে নেব', অনুব্রতর সুরেই এবার হুমকি বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়কের।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য জুড়ে হুমকি এবং কুকথার স্রোত। সম্প্রতি দিনহাটায় তৃণমূলের সভায় বিধায়ক পুত্র সায়ন্তন গুহ বলেন, 'বিজেপি তৃণমূলকর্মীদের দিকে তাকালেই ধোলাই হবে। বিজেপি গুন্ডাদের ধোলাই হবে।' হুমকির মুখে চুপ করে থাকেনি বিজেপিও। গেরুয়া শিবিরের পাল্টা তোপ, 'ভবিষ্যতে বাবা-ছেলে দুজনকেই কলকাতায় পালাতে হবে। বাপ-ব্যাটা কোচবিহারে রামধোলাই খাবে।' ঘটনা হল, এই ধরনের হুমকির অভিযোগ নতুন নয়। অতীতে খোদ তৃণমূল বিধায়কের মুখ থেকে এমন বহু 'মণিমাণিক্যের' কথা শোনা গিয়েছে অভিযোগে শোরগোল ফেলেন বিরোধীরা। 'আলাদা রাজ্যের দাবি করলে হাঁটু নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন না', ভোট প্রচারে গিয়ে এমনও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিধায়কের বিরুদ্ধে। এতেই শেষ নয়।
গত নভেম্বরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। সেবার নিশীথ প্রামাণিকের চেয়ার সরিয়ে দেওয়ার হুঙ্কার দেন উদয়ন গুহ। তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়ে শিলিগুড়ি থানায় (Siliguri Police Station) অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। দিনহাটার শুকারুরকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতে এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদয়ন বলেছিলেন, ‘ভোটে জেতার পরে আর এলাকায় ঢোকেননি নিশীথ প্রামাণিক। দাড়ি-গোঁফ উপড়ে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে।’ কোচবিহারে দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের উদ্দেশে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ-র বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। তাঁর মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক শঙ্কর ঘোষ।
আরও পড়ুন, ফের জাতীয় সড়কে 'লুঠ', চালককে বেহুঁশ করে টাকা হাতাল দুষ্কৃতীরা
রাজ্যে অবিরত চলে আসা কুকথা নিয়ে গতমাসে মুখ খোলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। ‘কে কত কুকথা বলতে পারে, তার প্রতিযোগিতা চলছে’। ‘কুকথার প্রতিযোগিতা চলছে, যে দলেরই হোক না কেন, বাঞ্ছনীয় নয়’। নেতাদের কুকথার স্রোত নিয়ে মন্তব্য বিধানসভার অধ্যক্ষের। ‘রাজনৈতিক দল তার কাজ করবে, কিন্তু গালাগালি কেন ?’ নেতাদের কুকথার স্রোত নিয়ে মন্তব্য ক্ষুব্ধ অধ্যক্ষের।