সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বড়সড় অস্ত্র পাচারকাণ্ডের পর্দাফাঁস। আজ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে ৬৮ ব্যাটালিয়নের বিওপি মধুপুরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে, অস্ত্রপাচারকাণ্ডের পর্দাফাঁস করেছে জওয়ানরা। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্য়ে রয়েছে, ৪টি বিদেশি তৈরি পিস্তল, ০৮টি ম্যাগাজিন এবং ৫০টি জীবন্ত কার্তুজ। 


চোরাকারবারিরা ভারত থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তথ্য অনুসারে, এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার  জেলায়  আন্তর্জাতিক সীমান্তে মোতায়েন ৬৮ ব্যাটালিয়নের মধুপুরে এলাকায়। তথ্য অনুযায়ী, রাতের দিকে নজরদারি ক্যামেরায় জওয়ানরা বাংলাদেশ দিক থেকে তিনজনকে আসতে দেখেন। এবং অপর আরেক জওয়ান ভারতীয় দিক থেকে একজনকে কিছু জিনিসপত্র নিয়ে আসতে দেখেন। জওয়ানরা তাঁদের হুঁশিয়ারি করে এবং চোরাকারবারিদের থামানোর চেষ্টা করে।


কিন্তু চোরাকারবারীরা সীমান্তের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। তখন সৈন্যরা মারাত্মক অস্ত্রগুলি চালায়। গুলির আওয়াজ শুনে চোরাকারবারীরা ঘন ঝোপের সুযোগ নিয়ে নিজ নিজ দিকে পালিয়ে যায়। তারপরে জওয়ানরা এলাকাটি তল্লাশি চালায়। এবং একটি ব্যাগ উদ্ধার করে। যেখানে ৪টি ইউ.এস.এ-তৈরি পিস্তল, ৮টি ম্যাগাজিন এবং ৫০টি জীবন্ত কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্র বাগদাদ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


শ্রী এ কে আরিয়া, ডি.আই.জি, জনসংযোগ আধিকারিক, বি.এস.এফ, সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার জওয়ানদের কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের পেছনে কারা রয়েছে ? তা খুঁজে বের করতে বিএসএফের গোয়েন্দা বিভাগ কাজ করছে। তিনি আরও বলেন,' কর্তব্যরত সৈনিকদের সতর্কতার কারণেই এ ধরনের চোরাচালান বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।'


আরও পড়ুন, 'ED ডাকল কেন, সবাই জানে..', অভিষেকের তলব নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শুভেন্দুর


প্রসঙ্গত,  রাজ্যে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার নতুন কোনও ঘটনা নয়। সম্প্রতি কাটোয়ায় উদ্ধার হয়েছিল বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি। বেঙ্গল এসটিএফের জালে ৩ অস্ত্র কারবারি। এদের মধ্যে একজনের বাড়ি বিহারের মুঙ্গেরে। অপর ২ জন মুর্শিদাবাদের নওদা ও হরিহরপাড়ার বাসিন্দা। বেআইনি অস্ত্র কেনাবেচার খবর পেয়ে কাটোয়া স্টেশনে হানা দিয়েছিল বেঙ্গল এসটিএফ। ৩ জনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৩টি ৭.৬৫ মিমি পিস্তল, ১৪ রাউন্ড গুলি ও ৬টি ফাঁকা ম্যাগাজিন। ধৃতদের কাছ থেকে একটি ট্রেনের টিকিটও মিলেছিল। এসটিএফ সূত্রে খবর, মুঙ্গের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতে এসেছিল এক অস্ত্র কারবারি। মুর্শিদাবাদ থেকে ২ জন সেই অস্ত্র কিনতে এসেছিল। এই চক্রে আর কারা জড়িত, তদন্তে নামে পুলিশ।