সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: গাড়ি চালককে আগ্নেয়াস্ত্র মাথায় ঠেকিয়ে লুঠ চালালো দুষ্কৃতীরা (Criminal  Attack)। বন্দুকের বাট দিয়ে মারধর করার অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় অভিযোগ দায়ের ঘোলা থানায় (Ghola Police Station)।ঘটনাটি ঘটেছে ঘোলা থানার অন্তর্গত  কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে।এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল ওই এলাকায়।


বাপি ঘোষ নামে এক গাড়ি  চালক এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যাওয়ার সময় তার গাড়িতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয় এবং গাড়ি বার বার বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় সোদপুর দিক থেকে বাইকে চেপে দুই দুষ্কৃতী আসে। এবং তারা ওই ড্রাইভারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে নগদ ৫ হাজার টাকা ও ফোন নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। এমনকি দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গেলে তারা বন্দুকের বাট দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে  এমনই অভিযোগ করেছেন আক্রান্ত গাড়ি চালক । গাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাহায্যের জন্য তার এক বন্ধু বাপি সরকারকে সেখানে ডাকে এবং সেই সময় সেও সেখানে উপস্থিত হয় । তাকেও জামার কলার ধরে মারধর করে দুষ্কৃতীরা । ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে গাড়ির চালক ও তার বন্ধু ঘোলা থানায় গোটা ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেন। এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঘোলা থানার পুলিশ। রাজ্যের অপরাধের প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। ডিজিটালাইজেশনের যুগে শুধুই যে অনলাইনে প্রতারণা বা টাকা লুঠের ঘটনা ঘটছে, তা নয়, এখনও প্রত্যন্ত বাংলায় ডাকাতির ঘটনা জারি আছে। এই বাইশ সালে দাঁড়িয়েও এখনও ডাকাতির উদাহরণ ভুরিভুরি এরাজ্যেই। 


সদ্য় ডাকাতির খবর এসেছে আজই গোঘাটার থেকে। মাঝরাতে বেপরোয়া ডাকাতি হয় গৃহস্থের বাড়িতে। পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধর করে লুঠপাটের অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ির দরজার তালা ভেঙে তিনজনকে মারধর করে। এরপর লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না ও নগদ টাকা লুঠ করে ডাকাত দল। জানুয়ারির শুরুতেই হুগলি জেলার ব্যান্ডেলে এই ডাকাতির কথাও কেউ ভূলবে না। ভাড়া দেওয়ার জন্য ঘরখালি রয়েছে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল এক প্রবীণ দম্পতি। অভিযোগ, তাতেই ঘর দেখার অভিনয়ে ঘরে ঢোকে ৪ দুষ্কৃতির দল। সন্ধের কিছু পরে, রাতের দিকে হুগলির ব্যান্ডেলের বিক্রম নগরে এমনই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে।


আরও পড়ুন, বাঁশদ্রোণীতে প্রাক্তন চেয়ারম্যানের ফ্ল্যাট এবার সিল করল সিবিআই


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজেদের দোতলা বাড়িতে থাকেন দেবনারায়ণ দত্ত এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি দত্ত। তাঁদের একমাত্র ছেলে কর্মসূত্রে থাকেন ওড়িশায়। নীচের তলার ঘরটি অঙ্কন মিত্র নামের এক যুবককে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন ওই দম্পতি।কিন্তু সম্প্রতি ভাড়া ছেডে় উঠে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অঙ্কন। সে কথা বাড়ির মালিককে জানান। তাতে নতুন ভাড়াটের জন্য বাড়ির বাইরে ‘টু লেট’ অর্থাৎ ‘ঘরভাড়া আছে’ লেখা একটি কাগজ সেঁটে দেন দেবনারায়ণ।  সন্ধের পর আচমকাই দরজায় বেল বাজতে শুনে মুখ বাড়িয়ে চার যুবককে দেখতে পান তিনি। কী দরকার জানতে চাইলে তাঁরা জানান, বাড়ি ভাড়ার বিজ্ঞাপন দেখে এসেছেন।ওই চার জনকে দিনের বেলায় ঘর দেখতে আসতে বলেন দেবনারায়ণ। কিন্তু অভিযুক্তরা জানান, দিনের বেলা কাজে ব্যস্ত থাকেন তাঁরা। সময় হবে না। কবে ভাড়া, কবে ঘরে ঢোকা যাবে, দু’এক মিনিটে কথা সেরেই চলে যাবেন। কিন্তু কিন্তু করেও শেষমেশ তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে দেন দেবনারায়ণ।ঘরে ঢুকেই ওই দম্পতিকে বেধে ডাকাতিতে সব লুঠ করে নেয় দুষ্কৃতিরা।