জয়ন্ত পাল, কলকাতা: ফের শহরে পুলিশি অভিযানে (Police Raid) উদ্ধার বন্য প্রাণীর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। দমদম প্রাইভেট রোডের আমবাগান এলাকা থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণে বন্য জীবজন্তুর ছাল ও অস্তি। বেআইনি ভাবে মজুত করা হয়েছিল এগুলো।


গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, বনদপ্তর এর আধিকারিকরা নাগেরবাজার থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি শুরু করে এক তন্ত্রসাধকের বাড়িতে। সেখান থেকে উদ্ধার হয় সাদা, কালো হরিণের ছাল, বাঘের  নখ ও দাঁত, এছাড়াও একাধিক পাখির দেহাংশ। মূল অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরী এখনও ফেরার। জ্যোতিষ ও তন্ত্র সাধনার নামে বেআইনি দ্রব্য বাড়িতে রেখেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। নাগের বাজার থানা ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে উদ্ধার করা হয়। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা গেল এই ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।


গতবছরের শুরুতে বড়সড় সাফল্য পেয়েছিল বন দফতর (Forest Department)। উদ্ধার করা হয়েছিল সেবার চিতা বাঘের চামড়া (Cheetah skin)। গ্রেফতারও করা হয়েছিল দুই অভিযুক্তকে। পাচার করার পরিকল্পনা ছিল উদ্ধার হওয়া চিতাবাঘের চামড়াগুলি। কিন্তু বনকর্মীদের তৎপরতায় পাচার হওয়ার আগেই উদ্ধার করা হয় সেসব। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই অভিযুক্তকে। সূত্র মারফত জানা যায়, ধৃতদের নাম পাসাং লামা ও সিরিং তামাং। তারা দু'জনেই দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা। 


গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল আগেই। তাতেই তৎপর হয় বনকর্মীরা। বন দফতর সূত্রে খবর, গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে অভিযানে নামেন তাঁরা। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি রাস্তার জলপাইমোড়ের কাছে একটি চার চাকার যাত্রীবাহী ছোটো গাড়ি দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। সঙ্গে সঙ্গে সেটিকে আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। গাড়ির মধ্যে থেকে একটি সুটকেস পাওয়া যায়। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় চিতা বাঘের চামড়া। বন দফতর সূত্রে আরও খবর, উদ্ধার হওয়া চিতা বাঘের চামড়াটি এক পূর্ণ বয়স্ক চিতা বাঘের। বনকর্মীদের অনুমান চিতা বাঘটি শিকার করে চামড়াটি নেপালে পাচারের উদ্দেশ্য ছিল পাচারকারীদের।


আরও পড়ুন, ব্যাঙ্কে না গিয়ে কুন্তলের থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ ! কত টাকা ধার নেন সোমা ?


একদিকে যখন বাঘ মেরে তার চামড়া পাচারের তোড়জোর চলছে, তখন অপরদিকে দক্ষিণবঙ্গে মানুষ বাস করছে বাঘের আতঙ্কে। গতবছর  ত্রাস ছড়িয়েছিল ডোরাকাটা। গোসাবা ও পাথরপ্রতিমার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) রায়দিঘিতে (Raidighi) ছড়িয়েছিল বাঘের আতঙ্ক (Tiger Fear)। নদীর চরে মিলেছিল সেবার বাঘের পায়ের ছাপ। রয়্যাল বেঙ্গলের (Royal Bengal Tiger) খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চালান বন আধিকারিক ও কর্মীরা।