উত্তর ২৪ পরগনা: জগদ্দলে ফের বোমাবাজির (Bomb Blast) ঘটনায় বিরোধীদের তোপ দাগলেন জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Majumdar) । পুলিশের টহল চলাকালীন বিস্ফোরণ। গলির মধ্যে মজুত রাখা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। তল্লাশিতে ৪টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল রাতে বিয়ে বাড়ির মাইক বাজানো নিয়ে বিবাদে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ! জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'এসমস্তটাই একটা চিত্রনাট্যের অংশ। সিপিএমের প্রযুক্তি, বিজেপির টাকা এবং ষড়যন্ত্র।'
জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'এসমস্তটাই একটা চিত্রনাট্যের অংশ। একটা ষড়যন্ত্রের অংশ যে, সিপিএমের প্রযুক্তি, যারা বোমার রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে এসেছিল, সেই সিপিএমের প্রযুক্তি এবং বিজেপির টাকা এবং ষড়যন্ত্র, এই সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে অশান্ত করার জন্য, বোমা তৈরি হচ্ছে, বন্দুক আনা হচ্ছে। সেটা শুধু নয় সেই বোমাকে রেখে দেওয়া হচ্ছে ময়দানে।' প্রসঙ্গত, বিয়ে বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনায় জখম হন ৪ জন। আজ সকালে পুলিশের টহলদারির সময়েও বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ। গতকাল রাতে বোমাবাজির ঘটনায় আটক ৫। জানা গিয়েছে, আহতদের ৩ জন সাগর দত্ত মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। জখম আরেক ব্যক্তিকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাতে সেনা কর্মীর আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে মাইক বাজানো নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। দু’ পক্ষের মধ্যে শুরু হয় মারপিট। এর মধ্যেই দুষ্কৃতীরা পরপর ২টি বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে জখম হন ৪ জন। আহতদের ৩ জনকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজন নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় ৫ জনকে আটক করল পুলিশ।
আরও পড়ুন, 'সবার আগে শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা উচিত', বললেন কুণাল ঘোষ
সম্প্রতি কৃষ্ণনগরের নগেন্দ্রনগরে দুষ্কৃতী তাণ্ডব ও বোমাবাজির জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাত দশটা নাগাদ একদল দুষ্কৃতী ওই এলাকায় বোমাবাজি করে ও বেশ কয়েকটি বাইকে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এরফলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় ওই এলাকার বাসিন্দাদের মনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কোতয়ালী থানার পুলিশ। অভিযোগ পুলিশের সামনেই চলে বোমাবাজি। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পরেও এলাকায় তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের দ্বন্দ্বে (TMC Inner Clash) সম্প্রতি রক্তাক্ত হয় বীরভূম (Birbhum)। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বোমাবাজি , সাঁইথিয়ায় (Sainthia) উড়ে যায় হাত-পা। সাঁইথিয়ায় বোমায় ওড়ে নাবালকের হাত-পা, আরেকজনের পা। মর্মান্তিক ঘটনা বীরভূমের সাঁইথিয়া ফুলুরের বহরাপুর গ্রামের। মাত্র কয়েক মাস বাকি পঞ্চায়েত ভোটের। তার আগে ফের রক্ত ঝরে বীরভূমে। গ্রাম দখল ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে সাঁইথিয়ার বহরাপুর গ্রাম। আহতদের নাম শেখ সাদ্দাম ও শেখ মুজাফ্ফার। সাঁইথিয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও কার্যকরী ব্লক সভাপতি ঘনিষ্ঠদের মধ্যে লড়াই। ঘটনায় সাঁইথিয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠল। ‘সবাই অনুব্রত মন্ডল হতে চাইছে, বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে জেলা কমিটির এক নেতা। দু’পক্ষই তৃণমূল, নিয়ন্ত্রণ নেই ব্লক সভাপতির, জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’ সংঘর্ষের জন্য ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধেই অভিযোগ তৃণমূলের কার্যকরী ব্লক সভাপতির।