সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনাঃ জগদ্দল (Jagaddal) স্টেশনের ৪ নম্বর রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় গতকাল রাতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। এক দুষ্কৃতী রেললাইনের কাছে বোমা ছোড়ে তারপর তার কাছ থেকে তিনটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থলে বোম-স্কোয়াড আসে আর কোনও বোমা আছে কিনা খতিয়ে দেখার জন্য। ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)।


সম্প্রতি, জগদ্দল থানা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। সেই এলাকার বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে জেরা করে এই বোমাগুলোর খোঁজ পেয়েছিল পুলিশ। বিভিন্ন তথ্য নিয়ে তারা সেই সব এলাকায় তল্লাশি চালায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, প্রায় ৩০টি তাজা বোমার হদিশ মেলে। এদিন এই বোমা উদ্ধারে বেরিয়ে জগদ্দল থানায় সিআইডির বোম ডিসপোজাল স্কোয়ার্ড আসে এবং বোমাগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় নিষ্ক্রিয় করার জন্যে পেপার মিলের ভিতরে, সেখানেই নিষ্ক্রিয় করা হয় বোমাগুলিকে। প্রশাসনের তৎপরতায় রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় বোম তৈরির কারখানাকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাজা বোমা নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে।


কিছুদিন আগেই বোমা বিস্ফোরণে ফের কেঁপে উঠেছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের পুন্দড়া গ্রাম। রাতে তৃণমূল সমর্থকের বাড়ির পেছনে সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখা ছিল বোমা। আর সেই বোমা হঠাৎই ফেঁটে এই বিস্ফোরণ, বলে খবর। এই ঘটনায় বাড়ি মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার দিন  অধর গড়াইয়ের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে মজুত বোমা ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে। অভিযুক্তের পরিবার নিজেদের তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করলেও দলীয় যোগ অস্বীকার তৃণমূল শিবিরের। গেরুয়া শিবিরের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই তৃণমূলের মদতে বোমা মজুত করা হয়েছিল।


আরও পড়ুন, 'অনুব্রত-র পাপের ভাগী হবে কে? 'রত্নাকর'-র প্রসঙ্গ টেনে বিস্ফোরক দিলীপ 


প্রসঙ্গত, এর আগেও জগদ্দলের সতেরো নম্বর ওয়ার্ডের আটচালা বাগান এলাকায়ের আগে বোমাবাজির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। বোমার আঘাতে কারও প্রাণ না গেলেও একটি বাড়ির বেশ কিছুটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে উত্তর ২৪ পরগনার  জগদ্দলের আটচালা বাগানের এ বি রোডে আলাউদ্দিন আনসারি নামে এক ব্যক্তির বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর তিনটি বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, বোমার আঘাতে কারও আঘাত না লাগলেও ওই ব্যক্তির বাড়ির বেশ কিছুটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ওই বাড়িতে চার শিশু-সহ পরিবারের অন্য়ান্য সদস্যদের সঙ্গে থাকেন আলাউদ্দিন আনসারি। দুষ্কৃতীদের বোমাবাজির ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত আলাউদ্দিনের পরিবার। বোমাবাজির পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জগদ্দল থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি কে বা কারা বোমাবাজি করেছেন, তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।