সমীরণ পাল, নিউব্যারাকপুর: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হানার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাম আমলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল পুরপ্রধান প্রবীর সাহার বক্তব্য।


নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের অভিযোগ, ১৯৯৬ সালে ৩৩ জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করেছিল বাম সরকার। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলও বাম জমানায় প্রচুর সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন বলে তৃণমূল পুরপ্রধানের দাবি। দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে আক্রমণ করলে, বাম আমলের দুর্নীতি নিয়েও পাল্টা খেলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান। বামেদের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


বাম আমলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ: ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও শোনা যাচ্ছে পুরপ্রধান বলছেন,  "১৯৯৬ সাল, নিউ ব্যারাকপুর পুরসভায় ৩৩টা নিয়োগ হয়েছে। যার ২৯টার অ্যাপ্রুভাল ৯৬ সালের পর ২০১৬ সাল মা-মাটি-মানুষের সরকার দিয়েছে। অন্যায় করেছে? অয়ন শীল যে কোম্পানির নামে খুলেছে, ২০০২ সাল থেকে সে বাম জমানার পুরস্কারপ্রাপ্ত ছিল। হুগলি জেলা পরিষদ বামফ্রন্টের ছিল, অয়ন শীল পরীক্ষা দিয়েছিল। পঞ্চায়েতে অয়ন শীল পরীক্ষা দিয়েছে। স্কুল শিক্ষা পর্ষদে অয়ন শীল পরীক্ষা দিয়েছে।'' 


আদালতে সমালোচনার মুখে ED ও CBI: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্য-রাজনীতিতে। এরই মধ্যে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত ED-র রিপোর্ট দেখে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। রিপোর্ট নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হল সিবিআইকেও। এই মামলাতেই রাজ্য সরকারের ভূমিকারও ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি।শুক্রবার পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই রিপোর্ট দেখে বিচারপতি অমৃতা সিন্হা তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, রিপোর্টে নতুন কী আছে? যা যা পদক্ষেপ নিয়েছেন, সেগুলো আগেই হয়েছে। তদন্তের গতি এত শ্লথ কেন? যা পরিসংখ্যান দিয়েছেন, সেগুলো সব আমার নির্দেশনামাতেই আছে। তাহলে আর মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট দিয়ে লাভ কী? এটা একেবারেই সন্তোষজনক নয়।                      
 
ইডির তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, মূল তদন্ত সিবিআই করছে। ফলে তার ওপর নির্ভর করে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। ইডি এদিন মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করলেও, সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, রিপোর্ট তৈরি হয়ে গেছে। তবে আদালতে পেশ করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। বিচারপতি সিন্হা প্রশ্ন করেন, একবার বলছেন রিপোর্ট তৈরি। এরপর এখন বদলাতে চাইছেন? এরপরই বিচারপতি তাঁর নির্দেশে উল্লেখ করেন, আগামী বুধবার, সিবিআই ও ইডি - দুই এজেন্সিকেই মুখবন্ধ খামে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে হবে।


আরও পড়ুন: Diabetes in India: চোখ রাঙাচ্ছে ডায়াবেটিস! গোয়ায় সর্বোচ্চ, ICMR রিপোর্টে বাংলার ছবিটা কী?