উত্তর ২৪ পরগনা: সাঁইথিয়া, কেশপুরের পর মিনাখাঁয় বিস্ফোরণ, মৃত্যু ৯ বছরের বালিকার। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু পুলিশের, গ্রেফতার বাড়িমালিক। গ্রেফতার বিস্ফোরণে (Explosion) মৃত নাবালিকার মামা। ধৃত বাড়ি মালিক আবুল হোসেন গায়েন তৃণমূল কর্মী (TMC Leader)। এলাকায় অপরাধমূলক কাজকর্মের জন্য বোমা মজুত, অভিযোগ স্থানীয়দের। বাড়িতে মজুত বোমা থেকেই বিস্ফোরণ, জানাল পুলিশ। এর আগেও ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, দাবি স্থানীয়দের। ‘ধৃত আবুল হোসেন গায়েন চাপালির তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির ঘনিষ্ঠ’, দাবি তৃণমূলেরই উপপ্রধান আব্দুল হামিদের। ধৃতের সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির।


উত্তর ২৪ পরগনার মিনাঁখায় বোমা বিস্ফোরণে নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় মৃতের মামাকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত আবুল হোসেন গায়েন তৃণমূল কর্মী। তার বাড়িতে বেড়াতে এসেই বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৯ বছরের ভাগ্নির। স্থানীয়দের দাবি, মাছের ভেড়ির ব্যবসায় যুক্ত তৃণমূল কর্মী আবুল হোসেন। এলাকায় অপরাধমূলক কাজকর্মের জন্য তার বাড়িতেই বোমা মজুত করা থাকত। এর আগেও ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বাড়ির দোতলায় মজুত বোমা ফেটে বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে মিনাখাঁ থানার পুলিশ। গতকাল রাতে এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত বাড়ি মালিককে। এখনও ফেরার ধৃতের দুই ভাই। ধৃত আবুল হোসেন গায়েন চাপালির তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আজিজুল গাজির ঘনিষ্ঠ বলে দাবি তৃণমূলেরই উপপ্রধান আব্দুল হামিদের। যদিও ধৃতের সঙ্গে যোগাযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির। কখনও কাঁকিনাড়া, কখনও সোনারপুর, কখনও সাঁইথিয়া, এবার মিনাখাঁ। কোথাও বোমাবাজি, আবার কোথাও বোমা ফেটে জখম-মৃত্যু। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এবার বোমা-রাজনীতির বলি নাবালকরাও। 


 আরও পড়ুন, 'বোমা-অস্ত্র এখন কুটির শিল্প', রাজ্যেকে খোঁচা দিলীপের


এর আগে ১৪ নভেম্বর গত সোমবার, সাঁইথিয়ায় গ্রাম দখল ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী-বিবাদের জেরে বোমাবাজির ঘটনায় পা উড়ে যায় এক তৃণমূল কর্মীর। গুরুতর জখম হয় ১৪ বছরের কিশোর। ২৮ অক্টোবর, সোনারপুরের খেয়াদা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুষ্কৃতীদের মজুত করা বোমার হদিশ পেয়ে যাওয়ায়, ৫ নাবালককে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। এর তিনদিন আগে, ২৫ অক্টোবর, কাঁকিনাড়া স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধারে বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে মৃত্যু হয় ৭ বছরের এক শিশুর। বিস্ফোরণে হাত উড়ে যায় ১০ বছরের এক বালকের।