সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: রাজ্যে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের দুর্নীতির ইস্যুতে ( Central Govt Project ) ইতিমধ্যেই সরব বিরোধীরা। আবাস,  মিড ডে মিল-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতির (Midday Meal Scam, PMAY Scam) ইস্যুতে নাম জড়িয়েছে শাসকদলের। যা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাবও চেয়েছে বিরোধী দলগুলি।  আর এমনই এক পরিস্থিতিতে  বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী (TMC Leader Narayan Goswami)। তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মাথা নোয়াবেন না।'


কেন্দ্রীয় দল (Central Team) এরাজ্যে বারবার আসতে আসতে ক্লান্ত হয়ে পড়বে। এক কথায় বলে দিন না হাতে না মারতে পেরে ভাতে মারতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) কিছুতেই কেন্দ্রের কাছে মাথা নোয়াবেন না। তিনি বাংলার মানুষের কাছে মাথা নোয়াতে প্রস্তুত। গতকাল অশোকনগরের (Ashoknagar) একটি সভায় এমনই মন্তব্য করেন অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। প্রসঙ্গত, রাজ্যে মিড ডে মিল দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, 'মনে হচ্ছে সত্য অনুসন্ধানে, তাঁদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে, যারা সত্যকে লুকোতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। রাঁধুনিদেরও এতে সামিল করা হয়েছে। তাদের বেতন ও ইনসেন্টিভ সময়ের আগেই দেওয়া হচ্ছে। এটা পশ্চিমবঙ্গ। যদি পড়ুয়াদেরও হুমকি দেওয়া হয়, অবাক হব না। মিড ডে মিলের অনুসন্ধানে কেন্দ্রীয় দলকে কয়েকটি বাছাই করা স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য় সরকারি আধিকারিকরা', অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। হাতেনাতে ধরতে আগাম খবর না দিয়ে যে কোনও স্কুলে যাওয়া উচিত।' 'কেন্দ্রের দেওয়া মিড-ডে মিলের ফান্ড থেকে বগটুই হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য রাজ্যের' বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। আর এবার ধ্রুব সাহার বিতর্কিত মন্তব্যে এরপর প্রতিক্রিয়া দেন শাসকদলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।


আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তপ্ত বাসন্তী, বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ, জখম চার


জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'এই ধ্রুব সাহা ব্যাক্তিটি, তার ব্যাকগ্রাউন্ড বিশেষভাবে আমরা জানিতো। এসব কথার কোনও অর্থ হয় না, কারণ  প্রমাণ করলে, প্রমাণ করবেন।  কিন্তু ঘটনাটা হচ্ছে, ওনারই গুরু শুভেন্দু অধিকারী, তিনি তো চিঠি লিখে বলেছেন মিড ডে মিল বন্ধ করে দিতে। তিনি আবার মিড মিলের জন্য কুম্ভিরাশ্রু ফেলছেন কেন ? তাঁদের দলের নেতা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের কোনও বাচ্চা যেনও মিড ডে মিল না পায়, এটা তো হচ্ছে বিজেপির ঘোষিত নীতি।' মূলত, কেন্দ্রীয় দলের অনুসন্ধানে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। ৭ জন মিড ডে মিলের কর্মীকে ভাগ করে দেওয়া হয় ৫জনের বেতন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রসকুঞ্জ প্রাণকৃষ্ণ হাইস্কুলে গিয়ে এমনই তথ্য় পেলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।