সমীরণ পাল, স্বরূপনগর: গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তৎপর হয়ে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাখি পাচার রুখল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। স্বরূপনগর  সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিরল প্রজাতির ৪৬টি টিয়াপাখির বাচ্চা। 


আজ ভোররাতে বিএসএফ জওয়ানদের কাছে খবর আসে, স্বরূপনগরের সোনাই নদীর দিয়ে বাংলাদেশে পাখি পাচার করা হচ্ছে। এই খবর পেয়েই বিএসএফ জওয়ানরা সেখানে ছুটে গেলে পাচারকারীরা খাঁচা ভর্তি পাখি ফেলে রেখে চম্পট দেয়। চারটি খাঁচা ভর্তি বিরল প্রজাতির ৪৬টি টিয়াপাখির বাচ্চা উদ্ধার করে বি এস এফ।


সম্প্রতি একইভাবে স্বরূপনগরের সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে শতাধিক বিরল প্রজাতির টিয়াপাখির বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছিল। আজ ফের পাখির বাচ্চা উদ্ধার করা হল। উদ্ধার করার পর বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে পাখির বাচ্চাগুলিকে বসিরহাটের বন দফতরের কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।  


ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার, চোরাচালানের কথা প্রায়ই শোনা যায়। মাঝেমধ্যেই বিএসএফ জওয়ানরা পাচারকারীদের গ্রেফতারও করেন। কয়েক মাস আগেই স্বরূপনগর সীমান্ত থেকে এক কোটি ২৭ লক্ষ টাকা মূল্যের প্রায় ২ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের ২৪টি সোনার বিস্কুট সহ এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করে বিএসএফ।


বিএসএফ-এর কাছে খবর আসে, স্বরূপনগরের আমুদিয়া সীমান্তের চিতারু গ্রামের দিক দিয়ে এক ব্যক্তি প্রচুর পরিমাণে সোনা পাচার করছে। সন্ধে নাগাদ মোটর সাইকেলে চড়ে ওই ব্যক্তিকে আসছিল। বিএসএফ জওয়ানদের সন্দেহ হওয়ায় তাকে থামতে বলেন। এরপরই সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন বিএসএফ জওয়ানরা তাকে তাড়া করে ধরে ফেলেন। ওই ব্যক্তির মোটরসাইকেলের ফিল্টারের ভিতর থেকে ২৪টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়।


ধৃতের নাম আজমল সানা। তার বাড়ি সীমান্তবর্তী দক্ষিণ তারালী গ্রামে। উদ্ধার হওয়া ২৪টি সোনার বিস্কুটের ওজন ২ কেজি ৫৯৯ গ্রাম, যার বাজার মূল্য এক কোটি ২৭ লক্ষ ১১ হাজার টাকা।