সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : সামনেই বাঙালিদের মহা উৎসব দুর্গাপুজো। আর তারপরই খুলে যেতে পারে স্কুল এবং কলেজ। করোনা (Corona) পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে স্কুল কলেজ। ফলে দীর্ঘদিন স্কুলে না যাওয়ার কারণে একটা ভীতি তৈরি হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের মনে। পড়ুয়াদের আতঙ্ক কাটাতে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হল।


করোনা অতিমারির জেরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ স্কুল কলেজ। পঠন পাঠন যা কিছু হচ্ছে সবই অনলাইনে। দীর্ঘদিন স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা না করার ফলে একটা ভীতি তৈরি হয়েছে রাজ্যের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে। জানা যাচ্ছে, খুব সম্ভাবত দুর্গাপুজোর পরই খুলে যেতে পারে স্কুল কলেজ। তাই ছাত্র ছাত্রীদের মন থেকে এই ভীতি বা আতঙ্ককেই কাটাতে এবার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। রাজ্য সরকারের নির্দেশে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা চন্দ্রকেতুগড় ডাঃ সহিদুল্লাহ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে শুরু হয়ে গেল ছাত্র ছাত্রীদের করোনার ভ্যাকসিন (Vaccine) দেওয়ার কাজ।


আরও পড়ুন - North 24 Parganas: উত্তর ২৪ পরগনায় প্রথম ডোজের টিকাকরণের ১০০ শতাংশ কাজ শেষ, দাবি প্রশাসনের, কটাক্ষ বিজেপির


অতিমারি করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে দেশ এবং রাজ্য জুড়ে মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়ে। যদিও এখনও করোনার প্রকোপ কেটে যায়নি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যায়নি এখনও। তার মধ্যেই এর তৃতীয় ঢেউ চোখ রাঙাচ্ছে। চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরাও তাই এই সময়টায় আরও সাবধানে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। করোনা অতিমারির জেরে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা একেবারে শিকেয় উঠেছে। তাই পুজোর পরে স্কুল না খুললেও কলেজ খোলার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর সেই কারণেই ছাত্র ছাত্রীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষ করে ফেলা দরকার। ছাত্র ছাত্রীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই তৎপর রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। তাদেরই নির্দেশে  দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা চন্দ্রকেতুগড় ডাঃ সহিদুল্লাহ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে আজ প্রায় সাতশো জন ছাত্র ছাত্রীকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।


জানা গিয়েছে, করোনার ভ্যাকসিন নিতে সকাল থেকে ছাত্রছাত্রীদের ভিড় দেখা গিয়েছে স্কুল চত্বরে। এই বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ সরোজ কুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, করোনার কারণে খুবই আতঙ্কে রয়েছে ছাত্র ছাত্রীরা। তাই রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশে ছাত্র ছাত্রীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এই ভ্যাকসিনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানাচ্ছেন যে, চারটি ক্যাম্পের মাধ্যমে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা চন্দ্রকেতুগড় ডাঃ সহিদুল্লাহ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার জন ছাত্রছাত্রীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এদিনের ভ্যাকসিন কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আনিসুর রহমান বিদেশ, বেড়াচাঁপা এক নম্বর অঞ্চলের প্রধান শেখ নৌসাদুজ্জামান রাজু এবং দেগঙ্গা থানার প্রশাসনিক আধিকারিক। ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু হওয়ায় খুবই খুশি ছাত্রছাত্রীরা।