সমীরণ পাল, বেলঘড়িয়া (উত্তর ২৪ পরগনা) : অনলাইন ক্লাসে নেটওয়ার্ক বিভ্রাটের জের কেড়ে নিল তরতাজা প্রাণ! পরিবারের দাবি, তার জেরে শিক্ষিকার বকুনি খেয়ে আত্মঘাতী বছর ১১-র স্কুলছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে বেলঘড়িয়ার এম এম রোডের একটি আবাসনে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
করোনা আবহে প্রায় ২ বছর ধরে স্কুলে ঝুলছে তালা। ক্লাসরুমের হই-হুল্লোড় নেই। বন্ধুর সঙ্গে এই আড়ি, এই ভাব নেই। টিফিন ভাগ করে খাওয়ার উপায় নেই। ঘরবন্দি শৈশব মুখোমুখি অনলাইনের। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই স্মার্টফোনে স্কুল-জীবনের স্বাদ পাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে নেটওয়ার্ক। সেই ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির সমস্যার জন্যই কি জীবনের সব কানেকশন ছিন্ন করে চলে গেল বছর এগারোর ছাত্রী? বেলঘরিয়ার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ওই ছাত্রীর অভিভাবকদের অনুমান তেমনই। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার এম এম রোডের একটি আবাসনে।
পরিবারের দাবি, বুধবার সকালে অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার সময় নেটওয়ার্কের সমস্যা হয়। ঠিক মতো পরীক্ষা দিতে না পারায় বকুনি দেওয়ার পাশাপাশি, ডিসকোয়ালিফাই করে দেন শিক্ষিকা। গোটা ঘটনার জেরে জেরে তীব্র মানসিক আঘাত পেয়ে দুপুরে মায়ের শাড়ি গলায় জড়িয়ে আত্মঘাতী হয় সে। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, খতিয়ে দেখা হচ্ছে ছাত্রীর মৃত্যুর কারণ।
করোনাকালের জেরে দৈনন্দিন কাজকর্ম থেকে পড়াশোনা বেশিরভাগই অনেকটা ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়েছে। স্কুল বন্ধ থাকায় অনলাইনেই চলছে পড়াশোনা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তবে নেটওয়ার্ক সমস্যার পাশাপাশি সারাদিন মোবাইল, ল্যাপটপ-কম্পিউটারে মুখ গুঁজে থাকা শৈশবে বাড়ছে অস্থিরতা, একাকিত্ব।
আরও পড়ুন- মোবাইল ফোনে আসক্তি, পান্ডুয়ায় পরিবারে বকুনি খেয়ে আত্মঘাতী ছাত্রী
আরও পড়ুন- অনলাইনে পড়াশোনার ফাঁকে বাড়ছে অনলাইন গেমে আসক্তি, গেম বন্ধের আর্জি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে
আরও পড়ুন- অ্যান্ড্রয়েড ফোন না থাকায় ব্যাঘাত অনলাইন পড়াশোনায়, স্কুলের উদ্যোগে পড়ুয়াদের দুয়ারে শিক্ষকরা