সমীরণ পাল, বনগাঁ (উত্তর ২৪ পরগনা) :  উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 parganas) পেট্রাপোলে (Petrapol) ড্রোন (Drone) উদ্ধারের পর, স্থানীয় দুই যুবক দাবি করলেন তাঁরাই সেটি বানিয়ে উড়িয়েছিলেন। পুলিশ (Police) সূত্রে খবর, ওই দু’জন থানায় (Police Station) এসে তার নথিও দেখান। এদিকে, এই ঘটনার পর কড়া অবস্থান নিল বনগাঁ পুরসভা (Bongaon Municipality)। এবার থেকে অনুমতি ছাড়া শহরে ড্রোন ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করল পুর কর্তৃপক্ষ।


ঠিক কী ঘটেছে?


উল্লেখ্য, গত শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর কাছে, পেট্রাপোল সীমান্তে উদ্ধার হয়েছিল সন্দেহজনক ড্রোন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India-Bangladesh Border) চাষের জমিতে ড্রোন উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়।


কারা উড়িয়েছিল ড্রোন? কী ছিল অভিসন্ধি? এনিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে তখন পুলিশ সূত্রে খবর, ড্রোন তৈরি করে উড়িয়েছিলেন বলে বনগাঁ থানায় এসে দাবি করেন দুই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, টিভিতে খবর দেখে ওই দুই যুবক থানায় যোগাযোগ করেন। অনলাইনে (Online) কেনা যন্ত্রাংশের নথি নিয়ে থানায় আসেন বনগাঁ (bongaon) রামকৃষ্ণপল্লির বাসিন্দা দুই যুবক। পরীক্ষামূলক ভাবে ড্রোনটি বানিয়েছিলেন। তাঁদের দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।


ড্রোন নিয়ে কড়াকড়ি-


এদিকে, ড্রোন উদ্ধারের পর এনিয়ে কড়াকড়ি করল বনগাঁ পুরসভা (bongaon municipality)। 'পুর এলাকায় এবার থেকে ড্রোন ওড়াতে গেলে পুরসভার অনুমতি নিতে হবে, না হলে ড্রোন ওড়ানো যাবে না' বলে জানিয়েছেন বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল শেঠ। পুরসভার পাশাপাশি, পুলিশও নজরদারি বাড়াবে বলে জানা গেছে।


আরও পড়ুন- নকল প্রসাধনীর গোডাউনের হদিশ, নামী সংস্থার মোড়কে মজুত প্রচুর সামগ্রী


এদিকে, সারা দেশ তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতেও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৃষিক্ষেত্র। এই উপর নির্ভর করেই বহু বাসিন্দা তাদের জীবনধারণ করে থাকেন। কৃষিনির্ভর অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যক্ষেত্র। বাংলায় বহু বাসিন্দা মাছচাষের সঙ্গে যুক্ত। মিষ্টি জলের মাছচাষ থেকে নোনা জলে মাছচাষ, সব ধরনের কাজই হয় এই রাজ্যে। সেই দিকে তাকিয়েই মৎস্যচাষিদের সুবিধার জন্য তিনদিনের শিবির শুরু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর কেন্দ্রীয় অন্তর্দেশীয় মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রে। নাম ইন্ডিয়ান ফিশারি আউটলুক ২০২২। চলবে ২৪ মার্চ পর্যন্ত।