কলকাতা: দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরলেন কামদুনির প্রতিবাদীরা (Kamduni Verdict Protest)। আজ সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা (BJP Leader Shankudeb Panda)।


বিশদে...
কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য় সরকার যে মামলা করেছে তাতে পার্টি হয়েছেন কামদুনির প্রতিবাদীরা। পাশাপাশি সর্বোচ্চ আদালতে, পৃথক একটি মামলা দায়ের করেছেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টে বিচার পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কামদুনির প্রতিবাদীরা। ২০১৩ সালের কামদুনি গণধর্ষণ-খুনের মামলায় গত ৬ অক্টোবর রায় ঘোষণা করে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ। ওই দিনই স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিলের জন্য সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিলের কাছে মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি ও হাইকোর্টের নির্দেশের কপি পাঠানো হয়েছিল। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে এক ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তকে বেকসুর খালাস করা হয়েছিল। ২ দোষীকে ফাঁসির বদলে যাবজ্জীবনের নির্দেশ দেয় আদালত। তার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে নির্যাতিতার পরিবার, অসন্তোষের সুর শোনা যায় কামদুনি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের গলায়। ডিভিশন বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করে রাজ্য। সূত্রের খবর, কামদুনি মামলায় নির্যাতিতার পরিবার যাতে সুবিচার পায়, সেজন্য় আইনজীবীদের সঙ্গে ব্য়ক্তিগতভাবে যোগাযোগ রাখেন মুখ্য়মন্ত্রী। কামদুনির পাশে থাকার বার্তা দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।    


বিতর্কে পুলিশি তদন্ত...
তবে এই রায়ের পর আরও প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশি তদন্তের প্রক্রিয়া। কলকাতা হাইকোর্ট তার রায়ের কপিতে উল্লেখ করেছে এই অপরাধ পূর্ব পরিকল্পিত এবং ষড়যন্ত্রমাফিক ঘটানো হয়েছে, তা সন্দেহের ঊর্ধ্বে প্রমাণে ব্য়র্থ হয়েছে সরকারপক্ষ। রায়ের কপিতে আরও বলা হয়েছিল, ধর্ষণ এবং খুনে, সইফুল এবং আনসারের মতো একই উদ্দেশ্য় ছিল এমামুল, ভুট্টো, ভোলা এবং আমিন আলির, সরকারপক্ষের এই যুক্তি নড়বড়ে ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে এবং তা প্রমাণিত একথা বলা যায় না। তাই কামদুনির তদন্তের ক্ষেত্রে গাফিলতির অভিযোগ জোরাল হয়ে ওঠে। আইনজ্ঞদের মতে, আদালত পুলিশি তদন্ত এবং তথ্যপ্রমাণের উপর তার বিচার করে। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, 'কোর্টকে তো সবসময় পুলিশের তদন্তের উপর নির্ভর করে চলতে হয়। আদালত তো সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়া চলতে পারে না। হাইকোর্টের দুই বিচারপতি বলেছেন, যে পুলিশ তাদের কাজে গাফিলতি করেছে, যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেনি। ক্রাইম ডিটেকশন ঠিকভাবে হয়নি। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।' তবে রাজ্যের তরফে স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দাখিলের পর দিল্লি পৌঁছে যান কামদুনির প্রতিবাদীরা। এদিন তাঁরাই ফিরলেন শহরে।


 


আরও পড়ুন:গভীর রাতে নিমতলা ঘাটের কাছে বিধ্বংসী আগুন, ভস্মীভূত কাঠের গোলা-সহ কয়েকটি বাড়ি