সমীরণ পাল, বনগাঁ: বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক স্কুটি আরোহীর। 


উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার চাঁদা পাঁচ মাইল এলাকায় বালি বোঝাই লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক স্কুটি চালকের। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন গাড়াপোতার দিক থেকে বনগাঁর দিকে যাচ্ছিলেন ওই স্কুটি আরোহী। সেই সময় পাঁচ মাইল এলাকায় বনগাঁর দিক থেকে আসা বালি বোঝাই লরি তাকে ধাক্কা মারে। লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ সূত্রে খবর মৃত স্কুটি চালকের নাম গোপাল বিশ্বাস। তাঁর বয়স ৩০ বছর। সে বাগদা থানার বেয়ারা পানপাড়া এলাকার বাসিন্দা। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। সাময়িক ভাবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বনগাঁ বাগদা সড়কে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনগাঁ থানার পুলিশ, পুলিশ এসে মৃত দেহটিকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।


ঘাতক গাড়ির চালক পলাতক। ঘাতক গাড়িটিকে আটক করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ এবং চালকের তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।


উল্লেখ্য, পুজোর সময় ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরার সময় কিছু দিন আগে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়েছিল এক দম্পতিকে। পঞ্চমীর ভোরবেলায় ঘটনাটি ঘটে বাঁকড়ার জাপানি গেটের কাছে। আহত স্বামী-স্ত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন রাত এগারোটা নাগাদ বাঁকড়ার বাসিন্দা কার্তিককুমার গুপ্ত তার স্ত্রী এবং দুই শিশুকে নিয়ে গাড়িতে চেপে হাওড়া এবং কলকাতার মন্ডপ দর্শন করতে বের হন। 


সারারাত ঠাকুর দেখার পর ঘটনার দিন সকাল পাঁচটা নাগাদ যখন তিনি বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় হাওড়া আমতা রোডের ওপর জাপানি গেটের গাছে তার গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ছোট লরিকে ধাক্কা মারে। এই দুর্ঘটনার ফলে গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। 


গাড়ির চালক কার্তিককুমার গুপ্ত এবং তার স্ত্রীর মাথা ফেটে যায়। দুই শিশু অল্পের জন্য রক্ষা পায়। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা এবং বাঁকড়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় স্থানীয় নার্সিংহোমে। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।


সরকার, প্রশাসনের বারবার পদক্ষেপ ও সচেতনতা সত্ত্বেও ক্রমেই বেড়ে চলেছে পথ দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি চালিয়ে এভাবেই বিপদ ডেকে আনছেন অনেকেই।