সমীরণ পাল, বারাসাত: নিউটাউনে (New Town Restaurant Slap Controversy) রেস্তোরাঁ মালিককে মারধরের ঘটনায় আগাম জামিন সোহম চক্রবর্তীর (Soham Chakraborty Bail Granted)। ২ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলেন তৃণমূল বিধায়ক। 


বিশদ...
আজ, বৃহস্পতিবার, বারাসাত আদালতে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিনের আর্জি জানান তৃণমূলের অভিনেতা বিধায়ক। তবে সেখানেও বিতর্কের ঝাঁঝ এড়াতে পারেননি। সোহম কেন সরকারি আইনজীবীর ঘরে বসেছিলেন, প্রশ্ন তোলেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। সরকারি আইনজীবীর জবাব, তৃণমূল বিধায়ক তাঁর পূর্ব পরিচিত। সেই সুবাদেই এসেছিলেন। মামলায় কোনও হস্তক্ষেপ তিনি করেননি, আরও জানান সরকারি আইনজীবী। তবে এই নিয়ে ততক্ষণে বেশ জল্পনা হয়েছে। এক বিতর্কের রেশ থিতোতে না থিতোতেই আর এক বিতর্কের ঢেউ আছড়ে পড়ল তৃণমূেলর এই বিধায়কের জীবনে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার, নিউটাউনে রেস্তোরাঁ মালিককে মারধরের ঘটনা ঘিরে এমনিতেই তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছিল নানা দিকে। টেকনো সিটি থানায় এফআইআরের ভিত্তিতে ৫০৬, ৩৪১, ৩২৩ ও ৩৪ নম্বর ধারায় মামলাও রুজু হয়। অভিযোগের আঙুল উঠেছিল সোহম চক্রবর্তীর দিকে। এই নিয়ে যে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছিল, তাতে দেখা যায় রেস্তোরাঁ মালিককে মারধর করছেন তৃণমূল বিধায়ক। এর মধ্যেই নিরাপত্তা ও তদন্ত চেয়ে আবেদন জানানোর পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রেস্তোরাঁ মালিক আনিসুল আলম। চলতি সপ্তাহে বিচারপতি অমৃতা সিন্হার এজলাসে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে, আজ বারাসত আদালত থেকে জামিন নিলেন সোহম।  


যা ঘটল...
গত শুক্রবার নিউ টাউনের রেস্তোরাঁর ঘটনার যে সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছিল, তাতে দেখা যায়, রেস্তোরাঁর কর্মীদের মারধর করছেন সোহম। কর্তৃপক্ষের দাবি, রেস্তোরাঁর সামনে পার্কিং লটে একটি গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। তার সামনে সোহম চক্রবর্তীর গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। মাঝের জায়গায় কোনও গাড়ি ঢুকতে পারছিল না বলে অভিযোগ। তবে শ্যুটিং ইউনিটের গাড়ি ঢুকে যায়। তখনই রেস্তোরাঁর কর্মী এসে গাড়ি সরাতে বলেন বলে খবর। সেখান থেকে বাদানুবাদের শুরু। তার পরই সোহম বাইরে বেরিয়ে আসেন। তিনি ছাদের উপর শ্যুটিং করছিলেন। গণ্ডগোল দেখে প্রথমে নিচে নেমে, বাইরে বেরিয়ে আসেন। তার পর ভিতরে ঢুকে যান। সেখানেই, মালিকের সঙ্গে সোহমের ধাক্কাধাক্কির পর্ব সিসিটিভি-বন্দি হয়। অভিযোগ, মালিক, আলমকে ধাক্কা মারেন তৃণমূলের অভিনেতা বিধায়ক। যদিও সোহম দাবি করেন,  'যে মুহূর্তে আমি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলাম, তার আগের মুহূর্তের ফুটেজটা ওদের হোটেলের বাইরের অংশে হয়েছিল। সেখানে, অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে।' সেই ফুটেজ প্রকাশ্যে এলে কী দেখা গিয়েছিল, তা এতদিনে মোটামুটি সকলে জেনে ফেলেছেন।


আরও পড়ুন:ক্রমেই শারীরিক অবস্থার অবনতি পার্থর, ফুলছে পা, এই পদক্ষেপ নিলল প্রেসিডেন্সি জেল