সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: অন্য়ান্য় বাজারের তুলনায় সবজির (Vegetable Price Hike) দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ। বাগুইহাটি বাজারে (Baguiati Bazar) হানা দিলেন রাজ্য়ের টাস্ক ফোর্স (Task Force Raid), এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও বিধাননগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা। বাজার পরিদর্শনের পর আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্য় রবীন্দ্রনাথ কোলে। 



কেন হানা?
আগুন সবজির বাজার। আনাজে হাত দিলেই লাগছে ছ্য়াঁকা। বাজারে গেলেই পকেটে পড়ছে টান। মাথায় হাত সাধারণ মানুষের। দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে বাজারে ঘুরছে রাজ্য় সরকারের টাস্ক ফোর্স। এরই মধ্যে অন্য়ান্য় বাজারের তুলনায় বাগুইহাটি বাজারে সবজির দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পেয়েই বৃহস্পতিবার বাগুইহাটি বাজারে হানা দিলেন টাস্ক ফোর্স, এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও বিধাননগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা। সবজির দোকান ঘুরে দেখেন তাঁরা। কথা বলেন বিক্রেতাদের সঙ্গে। সতর্ক করে দিয়েছেন সবজি বিক্রেতাদের। আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে টাস্ক ফোর্স। 


কী অভিযোগ?
ক্রেতাদের অভিযোগ টাস্ক ফোর্স, এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ, পুলিশ আধিকারিকদের সামনে সবজির আসল দাম বলেন বিক্রেতারা। তাঁরা চলে গেলেই ফের বেশি দামে সবজি বিক্রি করা হয়। বাজারে বাজারে হানা, নজরদারি সত্ত্বেও বাগুইহাটি বাজারে সবজির অত্যধিক দাম নেওয়ার অভিযোগে উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, আনাজের চড়া দাম নিয়ে এমনিতেই কপালে হাত গোটা রাজ্যের। বিষয়টি নিয়ে একাধিক বাজারে অভিযান চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্স। দিনদশেক আগে কলেজ স্ট্রিট মার্কেটে অভিযান চালান তাঁরা। খতিয়ে দেখেন দাম। সে বার দেখা গিয়েছিল, কলেজ স্ট্রিট বাজারে কাঁচালঙ্কা ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। টম্যাটো ১১০-১২০ টাকা কেজি। বেগুনের দাম ঘোরাফেরা করছিল ৮০-১০০ টাকার মধ্যে। পটল বিকোচ্ছইল ৮০ টাকায়, ঢ্যাঁড়সও ৮০ টাকা কেজি। এই পরিস্থিতিতে সেখানে অভিযান চালিয়েছিল রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্স। দাম খতিয়ে দেখেন তাঁরা। বেশ কয়েকজন ক্রেতা সবজির দাম নিয়ে তাদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন। সপ্তাহখানেক আগে  'মিনিস্ট্রি অফ স্ট্যাটিসটিক্স অ্যান্ড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন' বলছে, ভারতের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স জানাচ্ছে,দেশে মুদ্রাস্ফীতি জুনে 4.81 শতাংশের তিন মাসের সর্বোচ্চে পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা মে মাসে 4.3 শতাংশ ছিল। এর মধ্যে টমেটো ও অন্যান্য শাকসবজির পরে ডালও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরের চলে যেতে পারে। এমনিতেই বর্ষাকালে সবজি ও চালের দাম বৃদ্ধি এখন এমন। কিন্তু এ বছর ডালের দাম বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। রেটিং এজেন্সি ক্রাইসিলের মতে গত পাঁচ মাসে ডালের মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।যদিও মে মাসে পাইকারি মূল্য সূচক (ডব্লিউপিআই) দেখিয়েছে ডালের মুদ্রাস্ফীতি 5.8 শতাংশ এবং সিপিআই 6.6 শতাংশে৷ জুন মাসে, সিপিআই ডালের মুদ্রাস্ফীতি 10.58 শতাংশ দেখিয়েছে। 
তার উপর আবার বাজার ভেদে বেশি দাম চাওয়ার অভিযোগ।


আরও পড়ুন:'সারা দেশবাসী লজ্জিত...কখনও মাফ করা হবে না', কড়া প্রতিক্রিয়া মোদির