সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: নৈহাটিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ (TMC-BJP Clash) ঘিরে ধুন্ধুমার এলাকায়। দুই দলের সংঘর্ষের জেরে দুই পক্ষের অন্তত ৫ জন জখম (5 Injured At Naihati) হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় ভাঙচুর করা হয় ২টি গাড়ি। সংঘর্ষে বিজেপি নেত্রী শম্পা সরকারের স্বামী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূল ও বিজেপি উভয়পক্ষই নৈহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
যা জানা গেল...
গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থা বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক শম্পা সরকারের স্বামী সৌমেন সরকারের। আপাতত নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করেছেন চিকিৎসকরা। দু'পক্ষই নৈহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। যদিও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এলাকায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে। পুলিশ টহল দিচ্ছে এখনও। জানুয়ারির শেষাশেষিও খবরে আসে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ। সেবার তপ্ত হয়ে ওঠে কুলতলির মৈপীঠ।
কী ঘটেছিল কুলতলিতে?
কুলতলির মৈপীঠের ঘটনায় জখম হন দু'দলের ৫ কর্মী-সমর্থক। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনে বিজেপি। পাল্টা বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করে তৃণমূল। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা মৈপীঠ কুলতলি থানার অন্তর্গত শনিবারের বাজারে একটি সমাবেশ উপলক্ষ্য়ে জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে গণ্ডগোলের আভাস ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সেই জন্য় আগে থেকেই পৌঁছে যান তাঁরা। সরিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির সমাবেশ। অভিযোগ, যখন তাঁরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন তখনই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর হামলা চালায়। কিন্তু কেন? নেপথ্যের কারণ কী? খুঁজে দেখতে শুরু করে পুলিশ। উল্লেখ্য হালে, সমবায় নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এগরায়। উদ্ধবপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোট ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। তার আগে গত বছর মার্চে হোলি খেলা ঘিরে অর্জুন সিংহের বাড়ির সামনে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে ৪ জন আহত হন। জগদ্দলে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন গ্রেফতারও হয়েছিলেন। তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে সদলবলে হামলার অভিযোগ ওঠে। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তার পর, গত নভেম্বরে, ডেঙ্গি নিয়ে বিজেপির পুরসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে নৈহাটি পুরসভার সামনে। রক্তাক্ত হন মহিলা বিজেপি কর্মী। পুলিশের সামনেই ঝরে রক্ত। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি। দলের মহিলা কর্মীদের উপরেও হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, 'জবাব দিয়েছে সাধারণ মানুষ'।