সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: আধার কার্ড বাতিল (Aadhar Card Cancellation) নিয়ে আতঙ্ক কাটাতে এবার বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করল তৃণমূল। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকের চিকনপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে যাঁদের আধার কার্ড বাতিলের চিঠি এসেছে, এদিন সেই সমস্ত মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, জেলা পরিষদের সদস্য অভিজিৎ বিশ্বাস-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। আধার কার্ড বাতিলের চিঠি পেয়েছেন এমন বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তাঁরা।


প্রেক্ষাপট...
লোকসভা ভোটের মুখে জেলায় জেলায় আধার কার্ড বাতিলের খবরে তুমুল শোরগোল শুরু হয়। যদিও বিজেপি সাংসদ আলুয়ালিয়া দাবি করেন, কোনও আধার কার্ড বাতিল হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে এই নিয়ে কথাও হয়েছে বলে জানান তিনি। বিষয়টি নিয়ে হালেই প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানতে চান, বললেন, 'ভোটের আগে হঠাৎ কেন এত আধার কার্ড বাতিল? কী পরিকল্পনা কেন্দ্রর?' এতেই শেষ নয়। তাঁর মতে, সব থেকে বেশি মতুয়াদের আধার কার্ড বাতিল হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,... 'যাঁদের নাম কেটে দিয়েছে, তাঁদের আমরা আলাদা কার্ড দেব। আধার কার্ড বাতিল করে দিলে, রাজ্যের পোর্টালে অভিযোগ জানান। কেন এত আধার কার্ড বাতিল? জবাব দিক কেন্দ্র।'  এহেন পরিস্থিতিতে, দলনেত্রীর সেই বার্তাই একপ্রকার  চিকনপাড়া এলাকার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, জেলা পরিষদের সদস্য অভিজিৎ বিশ্বাস সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এলাকার যাঁদের কাছে আধার কার্ড বাতিলের চিঠি এসেছে, বৃহস্পতিবার তাঁদের বাড়িতে যান তাঁরা। সাধারণ মানুষের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন। জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যত দিন রয়েছেন, তাঁদের কেউ তাড়াতে পারবেন না। 
এই ভাবে আধার কার্ড বাতিলের চিঠি আসা কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। বস্তুত, সেই আতঙ্ক কাটানোই মূল লক্ষ্য ছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। সে জন্য বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পাশাপাশি কার্ড বাতিলের চিঠি পাওয়া এলাকার মানুষদের নিয়ে বৈঠকও করেন তাঁরা। গোটা বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বলেন 'কোথাকার কে এখানে কী বলে বেড়াচ্ছে, তাতে কী আসে যায়? কেউ কেউ টিকিটের জন্য দৌড়ে বেড়াচ্ছে। তাই এই সব বলে বেড়াচ্ছে।'


 


আরও পড়ুন:শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাবের দখলে আস্ত মাঠ? চুনকাম করে ফেরাল পুলিশ