সন্দেশখালি: নয় নয় করে ৪৯ দিন পার হতে চলেছে। এখনও খোঁজ নেই শেখ শাহজাহানের। সেই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চরমে। আর এই আবহেই সন্দেশখালিতে 'শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাবে'র দখল করে রাখা মাঠ ফিরিয়ে দেওয়া দিল পুলিশ। (Sandeshkhali Situation)। মাঠকে ঘিরে রাখা দেওয়ালে 'শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব' লেখাটিও ঢেকে দেওয়া হল চুনকামের প্রলেপে। সন্দেশখালি থেকে DG রাজীব কুমার বেরিয়ে আসতেই গতি পায় কাজ। দুপুর গড়ানোর আগে কাজ সম্পন্নও হয়। (Sheikh Shahjahan Fan Club)
বুধবার থেকে সন্দেশখালিতে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন রাজ্য পুলিশের DG. অফিসারদের সঙ্গে দফায় দফায় সেখানে বৈঠক করেন তিনি। টোটোয় চেপে গোটা এলাকায় কার্যত টহল দেন তিনি। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। জমি দখল এবং অন্যায়-অত্যাচার নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে এবং আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।
ধামাখালিতে রাতও কাটান DG. এর পর বৃহস্পতিবার সকালে বারাসাত রেঞ্জের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিআইজি ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সন্দেশখালি থানায় পৌঁছন। সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন DG. আর তার পরই 'শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাবে'র দখল করে রাখা মাঠ ফেরানোর কাজে নেমে পড়ে পুলিশ।
অরবিন্দ মিশন ময়দানের ওই মাঠ দখল করে রাখা নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই মাঠের দেওয়ালে লেখা ছিল 'শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব'। ফটকে তালা ঝোলানো থাকত, যাতে স্থানীয়রা ঢুকতেই না পারেন। এদিন সেই মাঠ স্থানীয়দের ফিরিয়ে দিতে উদ্যত হয় পুলিশ। প্রথমে তালা খোলা হয়। তার পর চুনকামের প্রলেপে ঢেকে দেওয়া হয় দেওয়ালের লেখা।
এর পর ওই মাঠে বৃক্ষরোপণ করেন সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাত। আনা হয় নীল-সাদা বেলুন। সেই বেলুন দিয়ে সাজানো হয় মাঠ। এর পর কচিকাঁচাদের জার্সিও উপহার দেন বিধায়ক। বিধায়ক যদিও দাবি করেন, মাঠ দখল করা হয়নি। টুর্নামেন্টের জন্যই দেওয়াল লিখন হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, ওই মাঠে প্রবেশের অধিকারই ছিল না তাঁদের। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগে ওই মাঠে দিব্যি খেলাধুলো করতেন সকলে। কিন্তু শাহজাহান, তাঁর অনুগামী এবং উত্তম এবং শিবুদের খবরদারিতে তা বন্ধ হয়ে যায়। তাঁরাই মাঠের চারপাশে দেওয়াল তুলেছিলেন, যাতে কেউ ঢুকতে না পারেন।