কলকাতা: সন্দেশখালির নির্যাতিতারা চাইলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হবে, জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আগামী ৬ মার্চ রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, জানালেন সুকান্ত। বারাসাতে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। সেই প্রসঙ্গেই সন্দেশখালির নির্যাতিতার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থার কথা জানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।

  

প্রেক্ষাপট...
সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে মার্চ মাসে বারাসাতে যে প্রধানমন্ত্রী সভা করতে আসছেন, সে খবর আগেই জানা গিয়েছিল। , গত জানুয়ারি থেকে এই এলাকা ঘিরে যে একের পর এক ঘটনা ও অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রেও আলোড়ন চলছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে তলব করেছিল সংসদের স্বাধিকার রক্ষা কমিটি। সূত্রের খবর, লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তার প্রেক্ষিতেই এই তলবের সিদ্ধান্ত। মোট ৩ পুলিশ অফিসারকে তলব করেছিল সংসদীয় কমিটি।  সন্দেশখালি যেতে বসিরহাট-টাকিতে সুকান্ত মজুমদারকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়। অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে পৌঁছতেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ ছিল।
এখানেই শেষ নয়। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে, স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখে এই নিয়ে তীব্র সমালোচনা শোনা গিয়েছিল। তিনি বলেন, 'সন্দেশখালিতে হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা সন্ত্রাসের রাজনীতি করে'। এর আগে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির মুখেও বিস্ফোরক অভিযোগ শোনা গিয়েছিল। স্মৃতি দাবি করেন, 'বাড়ি বাড়ি গিয়ে মমতার গুন্ডারা হিন্দু পরিবারের অল্পবয়সী মেয়েদের ধর্ষণ করছে...বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলেরা গুন্ডারা দেখে আসে, কাদের বাড়ির মেয়ে সুন্দরী, কোন মেয়েদের বয়স কম। তাঁদের স্বামীদের বলা হয়, স্বামী হলেও তাঁঁদের কোনও অধিকার নেই।' এসবের মাঝেই একাধিকবার বিরোধীদের সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে প্রশাসনের বিরুদ্ধে।


ফের 'বাধা'?
ঘটনা হল, এদিনও সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধার মুখে পড়তে হয় রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে। এদিন ধামাখালিতে তাঁকে আটকায় পুলিশ। জানানো হয়, দেহরক্ষীদের নিয়ে যেতে পারবেন সুকান্ত। কিন্তু কোনও পরিস্থিতিতেই জেলা সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না।  যদিও রাজ্য বিজেপি সভাপতির বক্তব্য, জেলা সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে যেতে দেওয়া হোক তাঁকে। 


আরও পড়ুন:মিলত না পারিশ্রমিক, তার উপর মারধর, সন্দেশখালিতে এবার সরব প্রাক্তন তৃণমূল নেতারা