সমীরণ পাল, ব্যারাকপুর (উত্তর ২৪ পরগনা) : বেলঘরিয়ায় খুনের মামলায় (Belgharia Murder Case) গ্রেফতার (Arrested) প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর (Ex TMC councillor) রূপালি সরকার। ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে (Barrackpore Court) আত্মসমর্পণের পর গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরকে ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল
২০২০ সালের মে মাসে লকডাউনের (Lockdown) সময় খাবার বিলি করছিলেন স্থানীয় যুবক সৌমেন দাস। নিরন্ন মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। খাবার বিলি করার সময় তাঁর ওপর হামলা হয়েছিল। যার পর গুরুতর জখম অবস্থায় সৌমেন দাসকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শুরু করা হলেও শেষরক্ষ হয়নি। ২০২০-র ১৯ মে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রসঙ্গত, কামারহাটির (Kamarhati) প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে হামলার অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ-মামলা ও শেষমেশ গ্রেফতার
যে ঘটনার পর বেলঘড়িয়া থানায় তৎকালীন তৃণমূল কাউন্সিলরের মৃত্যু অভিযোগ দায়ের হয়। ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তিনি জামিনও নেন। যার পর কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) তাঁকে আত্মসমপর্ণের নির্দেশ দেয় গত এপ্রিল মাসে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর। প্রসঙ্গত, কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর রূপালি সরকার।
রাজনৈতিক চাপানউতোর
গোটা ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূলের পক্ষ থেকে কামরহাটি পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহা জানিয়েছেন, আইন আইনের পতে চলবে। এদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব প্রশাসনের ওপর আস্থা রাখার কথাই জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর শেষপর্যন্ত গ্রেফতার হওয়ায় প্রশাসনের প্রশংসা করেছে গেরুয়া শিবির।
এদিকে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙায় (Beldanga) দু’পক্ষের সংঘর্ষে জখম হলেন ৬ জন। অভিযোগ, তৃণমূল (TMC) প্রধানের স্বামীর উপস্থিতিতে সালিশি সভায় গন্ডগোল হয়। তারপর একে অপরের উপর লাঠি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দু’পক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ (Police)।
আরও পড়ুন- বাংলায় 'অশনি' সংকেত, দুর্যোগ আসার আগেই তৎপর দক্ষিণ ২৪ পরগনা