সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: জয়নগরে তৃণমূল নেতা (Joynagar TMC Leader Death) 'খুনের' মধ্যেই এবার আমডাঙায় আক্রান্ত তৃণমূল। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বোমায় গুরুতর জখম আমডাঙার তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান (Amdanga TMC Leader Attacked)। জয়নগর-কাণ্ডের মধ্যেই এবার আমডাঙায় তৃণমূল নেতার ওপর হামলার অভিযোগ উঠল।
কী জানা গেল?
জখমের নাম রূপচাঁদ মণ্ডল। আজ সন্ধেয় আমডাঙার জলঙ্গ এলাকায় প্রকাশ্যে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় রূপচাঁদ হাটে গিয়েছিলেন বলে খবর। তিনি যখন গাড়ি থেকে নামবেন, তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা এমনই জানা গিয়েছে। তাঁর ডান কাঁধে বোমা লাগে। প্রথমে জখম তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে পরে বারাসতে যশোর রোডের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। রূপচাঁদের অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক বলে জানা যাচ্ছে। তাঁকে দেখতে আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান ও ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ পৌঁছে যান। ঘটনার পর পর ওই এলাকায় আরও বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি বোমাও উদ্ধার হয় বলে খবর।
তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের উপর হামলার প্রতিবাদে সোনাডাঙা, আমডাঙায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় শাসকদল। কিন্তু কেন হামলা চলল তৃণমূল নেতার উপর? নেপথ্যে কারা? তৃণমূল নেতার উপরে হামলায় এখনও ধোঁয়াশা। প্রসঙ্গত, দলের হুইপ অমান্য করেই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন রূপচাঁদ। তৃণমূল নেতার উপরে হামলার পরে হাটে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা, এমনও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ শুধু জানিয়েছে, অন্তত ২ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিল। কয়েকদিন আগেই, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় এদিন অভিযুক্ত সিপিএম নেতা, আনিসুর লস্করকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার আনিসুর...
জয়নগরের ঘটনায় পুলিশের ধারণা, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে না পারায় আক্রোশ থেকেই সইফুদ্দিনের উপরে হামলা চলেছিল। প্রথমে বাসন্তী, পরে রানাঘাটে আনিসুরের হদিশ মিলেছে বলে দাবি। তবে কি টিকিট-বিবাদেই খুন হতে হল তৃণমূল নেতাকে? এখনও পর্যন্ত জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে সিপিএম নেতা-সহ ২জন গ্রেফতার। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খুনে আনিসুরই মাস্টারমাইন্ড, দাবি করছে পুলিশ। সিপিএম নেতা আনিসুর ছাড়াও জয়নগরকাণ্ডে আটক আরও ৩। দলুয়াখাকি গ্রামের বাসিন্দা ধৃত সিপিএম নেতা আনিসুর লস্কর। পুলিশ সূত্রে খবর, হামলার পরে বাসন্তী, সন্দেশখালি, নদিয়া হয়ে মুর্শিদাবাদে পালানোর ছক ছিল ধৃতের। ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে রানাঘাট থেকে পাকড়াও করা হয়, দাবি পুলিশের।
আরও পড়ুন:আগরপাড়ায় মারুতির শোরুমে বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে ছাই একাধিক গাড়ি