সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: কামারহাটিতে (kamarhati) তৃণমূল (TMC) কর্মীর (workers) ওপর হামলার ঘটনা ঘিরে ফের শিরোনামে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (infighting) অভিযোগ। তৃণমূলেরই একাংশের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করছে পরিবার। জনবহুল এলাকায় তৃণমূল কর্মীকে ধারাল অস্ত্রের কোপ মারা হয় বলে দাবি জখম যুবকের পরিজনদের। গুরুতর জখম অবস্থায় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ওই তৃণমূল কর্মী। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ নিয়ে এখনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূল নেতৃত্বের।
কী ঘটেছিল?
ভরদুপুরে কামারহাটি পাঁচ মাথার মোড়ে হামলা চলে আলি রাজা নামে ওই তৃণমূল কর্মীর উপর। অভিযোগ, তাঁর পিঠে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। পরে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তবে সন্ধে পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি বলে দাবি কামারহাটি থানার পুলিশের। হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে এর মধ্যেই। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বসেছে পুলিশ পিকেট।
কী জানা গেল?
প্রাথমিক ভাবে জানা গেল, জখমের নাম আলি রাজা। এদিন রক্তদানের জন্য বেরিয়েছিলেন তিনি। জখম তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী-র অভিযোগ, ফেরার পথেই তাঁর উপর হামলা চলে। সন্দেহের তির ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফসানা খাতুন ও তাঁর পরিজনদের দিকে। আলি-র পরিবারের দাবি, এর আগেও হামলার চেষ্টা চলেছে। এবার পিছন থেকে তিন জন এসে তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, নভেম্বরের শেষ দিকে নওদায় তৃণমূল নেতা খুনেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠেছিল। দেহরক্ষীর সামনেই খুন হয়েছিলেন নদিয়ার তৃণমূল নেতা। দলেরই অন্য নেতার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ছিল । ইটভাটার বখরা নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন, বলে শোনা যায়। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মতিরুল। দেহরক্ষীর সামনেই বোমা-গুলি, নওদায় তৃণমূল নেতা খুন। নওদা থেকে করিমপুরে ফেরার সময় রাস্তা আটকে গুলি, বোমা । বিএড পডুয়া ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার সময় হামলা চলে তাঁর উপর। থানারপাড়ার নারায়ণপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় নওদার ব্লক তৃণমূল সভাপতির। মিথ্যে অভিযোগ, পাল্টা দাবি ছিল নওদার ব্লক সভাপতির। তার পর মাসখানেকও কাটল না। ফের তৃণমূল কর্মী হামলার ঘটনা ঘিরে শিরোনামে অন্তর্দ্বন্দ্বের জল্পনা।
আরও পড়ুন:'তোমায় পাওয়া আমার কাছে আশীর্বাদের মতো', বিবাহবার্ষিকীতে লিখছেন বিরাট