মগরাহাট: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) মগরাহাটে তৃণমূলের (TMC) জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য খুন। রাতে একদল দুষ্কৃতী এসে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। প্রথমে গুলি, গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে তাড়া করে ধারাল অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয় বলে খবর। গুলিতে জখম হয়েছেন নিহতের সঙ্গী। মগরাহাট ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পঞ্চায়েত সদস্যকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তৃণমূলের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যে মইমুর ঘরামির। ঘটনায় ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ব্যবসা সংক্রান্ত কারণেই খুন হয়েছেন ওই ব্যক্তি । আজ দেহের ময়নাতদন্ত হবে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে । ভোটপর্ব মিটলেও অব্যাহত সন্ত্রাস। নদিয়ার পর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট। সেখানে খুন হলেন তৃণমূলের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য।
ভোট-সন্ত্রাসে অব্যাহত মৃত্যুমিছিল: বাংলায় ক্রমাগত দীর্ঘ হচ্ছে তালিকাটা। সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোট-পর্বের হিংসা নিয়ে এবার সরব হয়েছেন বিদ্বজ্জনরা। মুখ্য়মন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। যেখানে লেখা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এই দায়িত্ব আপনি কোনওভাবেই অস্বীকার করতে পারেন না। এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। দফায় দফায় সরব হয়েছেন বিরোধীরাও। কংগ্রেস-সিপিএমের বিরুদ্ধে কোনও আক্রমণ না শানালেও, গত ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের দিন বিরোধীদের তোলা ভোট-হিংসার অভিযোগকে বিক্ষিপ্ত ঘটনা বলে উড়িয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে বাংলায় যখন দফায় দফায় সন্ত্রাস-হিংসার ছবি প্রকাশ্যে আসছে গ্রাম বাংলায় ভোট-সন্ত্রাসের প্রতিবাদ তখন পৌঁছেছে দিল্লিতেও। কিছুদিন আগেই সংসদ ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন বাংলার বিজেপি সাংসদরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তাঁরা।
নদিয়াতেও খুন: হাওড়া, ভাঙড়, মুর্শিদাবাদের পর গতকাল একই ঘটনা ঘটেছিল নদিয়াতেও। বাড়ির দাওয়ায় বসে ভাত খাওয়ার সময় ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। নদিয়ার নাকাশিপাড়ার ঘটনা। মৃতের নাম খবীর শেখ (৪৫)। নির্দল প্রার্থীর (Independent Candidate) সমর্থককে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার বীরপুর ১ পঞ্চায়েতের সারবাড়ি এলাকায় যে ঘটনা ঘিরে তৈরি হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। মৃতের ছেলে সামিউল শেখের অভিযোগ, বাড়ির দাওয়ায় বসে বাবার সঙ্গে ভাত খাচ্ছিলেন তিনি। তখনই তাঁকে এসে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন। বেশ কিছুটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাবা বাড়িতে না ফেরায় খুঁজতে বেরিয়েছিলেন। যে সময়ে কিছুটা দূরের এক বাড়ির সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় খবীর শেখকে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে ছোটা হয় হাসপাতালে। যেখানে খবীর শেখকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।