সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: কর্মচারী সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে কামারহাটি পুরসভায় (Kamarhati Municipalty Chaos) তুলকালাম। সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ককে ধাক্কা মারেন পুরসভার নিরাপত্তারক্ষী। গন্ডগোলের ছবি তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। প্রহসনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় বামেরা। ১২-শূন্য ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল।
নিগৃহীত প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক: প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে নিগৃহীত প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক। গন্ডগোলের খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। মোবাইল ফোন, ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বহিরাগতদের বিরুদ্ধে।
পুরসভা নয়, বিধানসভাও নয়, সামান্য কর্মচারী সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে কামারহাটি পুরসভায় (Kamarhati Municipality) ধুন্ধুমার। শনিবার কামারহাটি পুরসভা কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের ১২টি আসনে নির্বাচন হয়। তৃণমূল (TMC) জমানায় এটা ছিল প্রথম নির্বাচন।
সবকটি আসনেই তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা: শাসকদলের বিরুদ্ধে জোট বেঁধে ৭টি আসনে বাম (CPM) ও ৫টি আসনে কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা ভোটের লড়াইয়ে নামেন। শেষপর্যন্ত সবকটি আসনই দখল করেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। বামেদের অভিযোগ, নির্বাচন শুরু হতেই বহিরাগতদের ভিড় বাড়ে। জোট প্রার্থীদের আটকে রেখে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে কামারহাটি পুরসভায় গেলে আটকে দেওয়া হয় সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়কে। পুরসভার নিরাপত্তারক্ষী তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করেন। প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করে বাম নেতৃত্ব। সমবায় সমিতিতে গচ্ছিত রাখা টাকা লুঠ করতেই নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায় বলছেন, 'আমাকে তথাকথিত সিকিওরিটি অফিসার আটকাচ্ছে...বাহিনী ঢুকে গেল চোখে পড়ল না...ভোট হয়ে গেছে ভোটারদের ভোট দেওয়ার অধিকার নেই...সারা রাজ্য লুঠ করেছে...কো-অপারেটিভের ৫ কোটি টাকা লুঠ করবে।
ছাড় পায়নি সংবাদমাধ্যমও। গন্ডগোলের ছবি তুলতে গেলে কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা। যদিও গন্ডগোলের কথা মানতে চাননি তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী। খড়দার মন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলছেন, আমি মনে করি যা নির্বাচন হবে সেটা সুস্থ নির্বাচন হোক...জোর করে জেতার মধ্যে আনন্দ নেই...চুরি করে জিতেছি এটার কোনও মানে হয় না। নির্বাচন যত ছোট মাপেরই হোক, তাকে ঘিরে বাংলায় অশান্তির ট্র্যাডিশন অব্যাহত।