পার্থপ্রতিম ঘোষ , দক্ষিণ ২৪ পরগনা :  ৬ দিন পর অবশেষে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে রয়্যাল বেঙ্গলকে (Royal Bengal Tiger) কাবু করা সম্ভব হল।  কুলতুলির ডোঙাজোড়ায় শেখপাড়ার জঙ্গলে বাঘকে ফাঁদে ফেলার জন্য ২টি খাঁচা পাতা হয়েছিল।  বন দফতর সূত্রে খবর, ২টি ঘুম পাড়ানি গুলি খেয়ে বাগে আসে।  বাঘকে কাবু করতে এর আগে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। রাতভর জঙ্গলে ট্রাঙ্কুলাইজার নিয়ে বনকর্মীরা অভিযান চালান। তারপর আজ সকালে পিয়ালি নদী থেকে দমকলকর্মীরা প্রথম জল স্প্রে করে বাঘকে সরানোর চেষ্টা করেন। তারপর জঙ্গলে ছোড়া হয় লঙ্কা বোমা।  


কুলতলির ডোঙাজোড়ায় শেখপাড়ায় জঙ্গলে রাতভর বাঘের গর্জন শোনা গিয়েছিল। জাল ছিঁড়ে সে বেরনোরও চেষ্টা করে, এমন প্রমাণ মেলে।  কিন্তু বন দফতরের কর্মীরা তাকে নাগালে পায়নি।  রাতে যেহেতু জঙ্গলে আলো জ্বালানো নিষেধ, তাই অন্ধকারে বন দফতরের কর্মীরা ট্রাঙ্কুলাইজার নিয়ে জঙ্গলে অভিযান চালান। কিন্তু বাঘের নাগাল পাওয়া যায়নি। বন দফতর সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরে অভুক্ত বাঘটি যেখানে রয়েছে, সেখান থেকে তাকে সরানো যাচ্ছে না। আজ তাই দমকলের সাহায্য নেওয়ার কথা ছিল বন দফতরের। জল স্প্রে করে বাঘটিকে সরানোর চেষ্টা করা হবে বলে বন দফতর সূত্রে খবর।  


আরও পড়ুন : 


ওমিক্রন আবহে কোন রাজ্যে পর্যটনের কী কী বিধিনিষেধ ?



পুরো জায়গাটা, ৩ স্তরে নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়! উল্টোদিকেই রয়েছে পিয়ালি নদী! সেদিকে, বন দফতরের নৌকা দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। প্রথমে ২শো হেক্টর এলাকা ঘিরে, এনক্লোজার করা হয়েছিল। পরে, তা ছোট করে ২০০ বর্গফুট করা হয়। পায়ের ছাপ দেখে বন দফতরের অনুমান এটি পুরুষ বাঘ। রবিবার রাতে, বাঘটি নাইলনের জাল ছিঁড়ে বেরনোর চেষ্টা করে। সোমবার সকালে, জাল সংলগ্ন ভেজা মাটিতে, বাঘের আঁচড়ের দাগ দেখা যায়। অন্তত ৫ দিন ধরে বাঘটি ক্ষুধার্ত রয়েছে। এটাই চিন্তা বাড়িয়েছে, বন দফতরের। বাঘ ধরতে, একটি বিশেষ দল নিয়ে আসা হয়। সোমবার সকালে জঙ্গলের ভিতরে যান বনকর্মীরা। যেখানে বাঘটি রয়েছে, সেখানে নতুন করে একটি খাঁচা পাতা হয়। ভিতরে, টোপ হিসেবে দেওয়া হয় মাংস!