বনগাঁ: সকাল থেকেই ইডির হানা আর ইডির (ED) ওপর হানা ঘিরে তুলকালাম রাজ্য। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে হানা দিলেন তদন্তাকারী আধিকারিকরা। সকাল সকাল বনগাঁর শিমূলতলায় তৃণমূল নেতার শ্বশুর বিনয়কুমার ঘোষের বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে চলে তল্লাশি। এর পাশাপাশি শঙ্কর আঢ্যর ভাইয়ের আইসক্রিম কারখানা এবং তাঁর দুই কর্মচারীর বাড়িতেও পৌছে গেছেন ইডি-র আধিকারিকরা।
উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) সন্দেশখালি বনগাঁর পাশপাশি কলকাতাতেও তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি। রেশন দুর্নীতি মামলায় সাতসকালে সিঁথিতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে রেখেছে ব্যবসায়ী গোপাল বণিকের বাড়ি। অন্যদিকে, যাদবপুরের বিজয়গড়েও হানা দিল ইডি। চাটার্ড অ্যাকাউন্ট কল্যাণ সিংহ রায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। ইএম বাইপাসের ধারে মেট্রোপলিটনে শঙ্কর আঢ্যর এক সহযোগী বাবলু দাসের ফ্ল্যাটেও পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা।
এদিন সন্দেশখালিতে অভিযানে গিয়ে ভয়াবহ ভাবে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিক ও সিআরপিএফ জওয়ানরা । এদিনই ১৭ ঘণ্টা ধরে তল্লাশির পর শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তাকে গাড়িতে তোলার সময় আবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বনগাঁ। মূল নেতাকে গ্রেফতার করে গাড়িতে তোলার সময়, তুলকালাম বেধে যায়। মহিলাদের সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখিয়ে ED-র গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতার অনুগামীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ করায় পিছু হঠে বিক্ষোভকারীরা।
এর পর ধৃত তৃণমূল নেতা ও ২ জন ইডি অফিসারকে নিয়ে কোনওক্রমে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যায় ED-র গাড়ি। পিছনে ED-র আরেকটি গাড়ির কাচ ইট মেরে ভেঙে দেন ধৃত তৃণমূল নেতার অনুগামীরা।