সমীরন মন্ডল, বাগদা, উত্তর ২৪ পরগনা: দিদির দূত কর্মসূচিতে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছেন অনেকে। গ্রামবাসীদের বিভিন্ন অভিযোগ, ক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা গিয়েছে দেবাংশু ভট্টাচার্য, কুণাল ঘোষ, উদয়ন গুহ-সহ আরও একাধিক নেতা-বিধায়ককে। এবার দলবদল নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়লেন তৃণমূলের বিধায়ক। বাগদায় দেখা গেল এমনই ঘটনা।
প্রশ্নের মুখে বিধায়ক:
দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে এবার দলবদল নিয়ে প্রশ্নের মুখে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। বাঁশঘাটায় গিয়েছিলেন তিনি। এলাকায় বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগ শুনতে কথা বলছিলেন তিনি। তখনই তাঁর দিকে এগিয়ে আসেন রামপদ মন্ডল নামে এক গ্রামবাসী। তিনি দলবদল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিশ্বজিৎ দাসকে জিজ্ঞেস করেন তিনি কোথায় আছেন? তিনি বলতে থাকেন, 'তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, ভোটে জিতে আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। আপনাকে কী অভিযোগ করব?'
বিধায়কের দল নেই...
এই প্রশ্ন শুনে কিছুক্ষণের জন্য হলেও দৃশ্যত যেন বিব্রত দেখায় বিধায়ককে। পরক্ষণেই তিনি জবাব দেন যে, বিধায়কের কোনও দল হয় না। তিনি বলেন, 'মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন আপনারা সকলে পেয়েছেন, আগামীদিনেও পাবেন। কে কোন দলে থাকল, আমি বিধায়ক হিসেবে উন্নয়নের কাজ করছি। আপনাদের দেখার দরকার নেই আমি কোন দলে আছি।' বিধায়কের সঙ্গীদেরও বলতে শোনা যায়, বিধায়কের দল দেখার দরকার নেই। তা শুনে ওই গ্রামবাসীও পাল্টা উত্তর দেন সেই মুহূর্তেই হস্তক্ষেপ করেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তিনি নিজে কথা বলছেন, তাই বাকিদের চুপ থাকার পরামর্শ দেন তিনি। তারপর ওই ব্যক্তির কাছে জানতে চান তিনি কী কী পাননি, কী সমস্যা রয়েছে? ওই বাসিন্দা তখন একাধিক সমস্যার কথা বলতে শুরু করেন। গ্রামের রাস্তা এবং আরও সমস্যার কথা বলতে শুরু করেন। তখন বিধায়ক জিজ্ঞেস করেন, 'আপনি আপনার কথা বলুন, কী পাননি আপনি?' তার উত্তরে ওই বাসিন্দাকে বলতে শোনা যায় গ্রামবাসীর কথা ভেবেই তিনি বলছেন। তা শুনে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস প্রস্তাব দেন,তাহলে আপনি আসুন আমাদের সঙ্গে, আমাদের হয়ে কাজ করুন।
গত বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছে়ড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। বিজেপির টিকিটে বাগদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে বিধায়ক হন তিনি। ভোটের ফল বেরনোর পর ফের তৃণমূলে ফেরেন বিশ্বজিৎ দাস। তৃণমূলে ফেরার পরে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি।
বিজেপির কটাক্ষ:
সাধারণ মানুষ সব জানেন, সব বোঝেন। তাই বিধায়ক যখন দল পরিবর্তন করেন, তাঁকে এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। কটাক্ষ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের।
আরও পড়ুন: কোন জীবনটা গ্রহণ করবেন? বঙ্গবাসীকে বার্তা দিলেন মমতা