পার্থ প্রতিম দাস, উত্তর ২৪ পরগনা: নেশামুক্তি কেন্দ্রে অস্বাভাবিক মৃত্যু যুবকের। তাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা বেলঘরিয়ায় (Belgharia News)। পরিবারের অভিযোগ, পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে ওই যুবককে। তাতে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে। নেশামুক্তি কেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ (Police)এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে এখনও উত্তেজনা রয়েছে।


ভাঙচুর স্থানীয়দের, উত্তেজনা এলাকায়


বেলঘরিয়ার যতীন দাস নগরের একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রের ঘটনা (Death in Rehab)। ওই যুবক আদলে বাগুইআটির হাতিয়াড়ার বাসিন্দা। বয়স ছিল ২৫ বছর। তাঁর পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগেই ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে ছেলেকে ভর্তি করে যান তাঁরা। সোমবার সকালে আচমকা নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে ফোন যায় তাঁদের কাছে। বলা হয়, ছেলে অশান্ত হয়ে উঠেছে। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। 


ফোন পেয়ে তড়িঘড়ে সেখানে ছুটে আসেন ওই যুবকের পরিবারের লোকজন। তাঁরা জানিয়েছেন, ছেলের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে প্রথমে তাঁদের জানানো হয়। তার পর অনেক ক্ষণ বসিয়ে রাখার পর বলা হয়, ছেলে মারা গিয়েছে। নেশামুক্তি কেন্দ্রের এই দাবি মানতে চাননি ওই যুবকের পরিবার। ফলে সেখান থেকে বেরিয়ে স্থানীয়দের বিষয়টি জানান তাঁরা। তাতেই পরিস্থিতি তেতে ওঠে। 



আরও পড়ুন: Bagdogra Airport : পর্যটকদের জন্য সুখবর, রানওয়ে সংস্কারের পর আজ থেকে খুলল বাগডোগরা বিমানবন্দর


মৃত যুবকের বাড়ির লোকের কাছে সব জানতে পেরে দল বেঁধে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রটিকে ঘিরে ধরেন স্থানীয়রা। চলে ব্যাপক ভাঙচুর। দরজা-জানলা-সহ একটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। কোনও রকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। তাতে বিক্ষোভ থামলেও এলাকায় এখনও উত্তেজনা বজায় রয়েছে। তবে এ নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।


ছেলেকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ পরিবারের


মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, তাদের ছেলের উপর শারীরিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। তাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। পরিবারের ওই অভিযোগকে সমর্থন জানিয়েছেন স্থানীয়রাও। তাঁদের দাবি, ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্মী থেকে চিকিৎসক, সকলেই রোগীদের উপর অত্যাচার চালান। তাতেই এমন অঘচন ঘটেছে।