সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ভাটপাড়ায় (Bhatpara) প্রতারণার শিকার এক শিক্ষক। ঋণ নেওয়ার নামে তাঁর কাছে একাধিক মেসেজ আসে। বাররবার ফোনও আসে প্রতারকদের কাছ থেকে। সম্মান বাঁচাতে প্রতারকদের প্রায় ষাট হাজার টাকা দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। কিন্তু তারপরও প্রতারণার হাত থেকে নিস্তার নেই তাঁর। এমন ঘটনায় আতঙ্কে শিক্ষকের গোটা পরিবার।


কিছুদিন আগেই এমন ঘটনা ঘটেছিল উত্তর ২৪ পগরনারই ব্যারাকপুরে। এবার তেমনই ঘটনা ঘটল ভাটপাড়ায়। এবার প্রতারণার শিকার পেশায় একজন শিক্ষক। জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষকের নাম তিলক রাজ ঘোষ। ওই ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত মাস খানেক আগে। কিছুদিন আগে তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। যেখানে লেখা থাকে, তিনি একটি ঋণ নিয়েছেন। এবং আগামী দু ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে সেই ঋণ শোধ দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই এমন মেসেজের প্রথমে কোনও গুরুত্ব দেননি তিলক বাবু। তারপর থেকেই তাঁর ফোনে বারবার একই মেসেজ আসতে শুরু করে। যেখানে একই কথা লেখা থাকে যে তিনি ঋণ নিয়েছেন এবং দ্রুত সেই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। 


আরও পড়ুন - Barrackpore News: বিজেপি প্রার্থীদের আশীর্বাদ, কুশল বিনিময়, বিরল সৌজন্য দেখালেন ব্যারাকপুরের পৌর প্রশাসক


পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হচ্ছে যে, সেই সমস্ত মেসেজের উত্তরও না দেওয়ার পর পেশায় শিক্ষক তিলক রাজ ঘোষের হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারকদের ফোন আসতে শুরু করে। যে ফোন কলে বলা হয় যে, তাঁদের কাছে ওই ব্যক্তির আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাঙ্কের সমস্ত নথিপত্র রয়েছে। নানাভাবে ভয় দেখানো শুরু হয় তিলকবাবুকে। ঘটনার কোনও কূলকিনারা করতে না পারায় সম্মান বাঁচাতে এক মাসের মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার টাকা প্রতারকদের দিয়ে দেন তিলকবাবু। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, তিলকবাবুক ফোনে যে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে ফোনগুলি আসছিল, সেগুলির প্রোফাইল ছবিতে হয় কোনও পুলিশের ছবি নাহলে কোনও সেন্ট্রাল ডিটেকটিভ অফিসের ছবি ব্যবহার করা ছিল। এই সমস্ত দেখে আরও ভয় পেয়ে যান তিলকবাবু। এরপর যখন তিনি টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন, তখন তাঁর আত্মীয় পরিজন, অফিস কলিগদের ফোন করে বলা হতে থাকে যে, তিলকবাবু অনেক টাকা ঋণ নিয়েছেন। তাঁদের নাম গ্যারান্টার হিসেবে দেওয়া রয়েছে। তাঁরা যদি টাকা না দেন, তাহলে তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে। এমন ঘটনা আতঙ্কে তিলক রাজ ঘোষের গোটা পরিবারে। পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়ে ভাটপারা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই শিক্ষক। পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।