খড়দা: বর্ষবরণের রাতে উত্তর ২৪ পরগনায় টাটা গেট এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে বোমাবাজি (Bombing)। দমদম- ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা অফিসের উল্টোদিকের দেওয়ালে বোমার দাগ। অভিযোগের তির দুষ্কৃতীদের দিকেই। কে বা কারা বোমা ছুড়ল, খতিয়ে দেখছে খড়দা থানার পুলিশ (Khardah Police Station)।                                                                              


খড়দায় ফের বোমাবাজি: কাঁকিনাড়া, মিনাখাঁ, কালিয়াচক, নানুর, সোনারপুর, মাথাভাঙার পর এবার খড়দা। বর্ষবরণের রাতে এবার তৃণমূল কার্যালয়ের সামনেই বোমাবাজির অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, "পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখছে। সত্যি বোমা মারা হলে ধরা পড়বেই। আমার ধারণা অতি আনন্দে কেউ এটা করে ফেলেছে।''                                                          


নন্দীগ্রামে বোমাবাজি:  এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রামে (Nandigram) তৃণমূলের  বুথ সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি। ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় ১২টা। গোকুলনগরের কর পল্লিতে, তৃণমূলের বুথ সভাপতি স্বপন করের বাড়ি লক্ষ্য করে তিনটি বোমা ছোড়া হয়। অভিযোগ, দরজার গ্রিল ধরে ধাক্কাধাক্কি করে দুষ্কৃতীরা। সেই সঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।                                                               

তৃণমূলের বুথ সভাপতি স্বপন করের মা জানান, “হঠাৎ শব্দ পেলাম। তারপর আজেবাজে কথা। নোংরা ভাষা। আমি তো ভয়ে,  বাচ্চারা শুয়ে আছে। ভয় লাগছে। তারপর পাড়া প্রতিবেশী আসে। বোমাবাজির ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তোলে তৃণমূল। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, “সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজনৈতিগত ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি পেরে উঠছে না। তাই তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়িতে বম্বিং করেছে। শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশ। বিজেপির দুষ্কৃতীরা।’’


আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: 'তৃণমূলই সরকার, তৃণমূলই বিরোধী,' কুণাল-মন্তব্যে শুরু বিতর্ক