সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ফের মর্মান্তিক ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। দত্তপুকুর থানার (Duttapukur Police Station) রঙ্গোপুর এক ব্যবসায়ী আজ সকালে নিজের মাথায় নিজের লাইসেন্স রিভলভার দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন (Suicide Case)। জানা গিয়েছে, তার বয়স হয়েছিল আটাত্তর। তাঁর ইটভাটার ব্যবসা ছিল। দত্তপুকুর থানার পুলিশ রিভলভারটি উদ্ধার করেছে। কী কারণে ওই ব্যবসায়ী আত্মঘাতী হলেন ? খতিয়ে দেখছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। 


বছর দুই আগে এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল হাওড়ার শালিমারে। সেবারও এক ব্যবসায়ীর রহস্যমৃত্যু হয়। নিজের বাড়ির উঠোনেই মেলে মৃতদেহ। পাশে পড়েছিল পয়েন্ট থ্রি-টু বোরের লাইসেন্সড বন্দুক। মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়েই আত্মঘাতী হয়েছেন ব্যবসায়ী। অনুমান করেছিল শিবপুর থানার পুলিশ। রান্নাঘরে স্বামীর জন্য জলখাবার বানাচ্ছিলেন স্ত্রী। আচমকাই গুলি চলার শব্দ। পড়িমড়ি করে স্ত্রী বাইরে বেরিয়ে দেখেন, গোটা উঠোন রক্তে ভাসছে। লুটিয়ে পড়ে আছেন স্বামী। হাতের পাশে লাইসেন্সড রিভলভার।


সকালে হাওড়ার শালিমারের কোল ডিপোর কাছে ঘটেছে এই ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম অনিল মিশ্র। পেশায় পরিবহণ ব্যবসায়ী। কলকাতায় প্লাইউডের ব্যবসাও আছে। তদন্তকারীরা অনুমান করেছিলেন, ব্যবসায়ী আত্মঘাতী হয়েছেন।পরিবারের সদস্যদের দাবি, বাবার মৃত্যুর পর অনিল মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন অনিল মিশ্র। ব্যবসাতেও মন্দা চলছিল। ৩ মাস ধরে বাড়ির বাইরে বেরোতেন না। ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। হাঁটা চলা সেভাবে করতে পারতেন না। 


 শিবপুর থানার পুলিশের বক্তব্য, মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করতে থাকতে পারেন ওই ব্যবসায়ী। যদিও কোনও সুইসাইডাল নোট পাওয়া যায়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে তদন্ত শুরু করে শিবপুর থানার পুলিশ। এদিকে, এক ব্যক্তির পচা-গলা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তালতলা থানা এলাকার ডক্টর লেনে। আশিস ফিলিপ গোমস (৫১) পেশায় ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন এর কাজ করতেন। ডক্টর লেনের বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন, পরিবার কাছেই অন্য বাড়িতে থাকতেন।সন্ধ্যা বেলায় তার বাড়ি থেকে পচা গন্ধ পান স্থানীয় মানুষরা, তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়, তালতলা থানায় খবর দিলে তালতলা থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করেন।


আরও পড়ুন, বিস্ফোরণের স্মৃতি এখনও তাজা, ফের বোমা উদ্ধার বীরভূমের একই গ্রামে ! 


একুশ সালে সেপ্টেম্বরে আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল হরিদেবপুরে। আত্মঘাতী হয়েছিলেন হরিদেবপুরের (Haridevpur) ব্যবসায়ী, বলে অনুমান ছিল সেসময় পুলিশের।  দেনার দায়ে ডিপ্রেশনে (Depression) আত্মঘাতী ব্যবসায়ী, অনুমান পুলিশের। ১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা দেনা ছিল ব্যবসায়ীর, দাবি পরিবারের।