সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: এবার কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। প্রতারিত হয়েছেন শতাধিক গ্রাহক। ঘটনাটি ঘটেছে বেলঘরিয়ার (Belgharia) নন্দননগরে। যদিও ব্যাঙ্কের সম্পাদক ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন।
জানা যাচ্ছে, উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার নন্দননগরে অবস্থিত বেলঘরিয়া কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড নামে একটি সমবায় ব্যাঙ্কে প্রায় দুশো গ্রাহক নিয়মিত সেখানে টাকা রাখতেন। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে কষ্ট করে রোজগার করা টাকা তাঁরা সেখানে রাখতেন। কেউ মেয়ের বিয়ে দেবেন বলে টাকা জমিয়েছিলেন তো কেউ অন্য কোনও কারণে টাকা জমাতেন। অভিযোগ উঠেছে যে, ২০১৯ সালের শেষের দিকে বেলঘড়িয়া কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সেখানে তালা লাগিয়ে দেয়। গ্রাহকরা অভিযোগ জানিয়েছেন যে, তাঁরা যখন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে যান, তখন তাঁদের জানানো হয় যে, ব্যাঙ্কের দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ওই দুই কর্মচারী ব্যাঙ্কের হিসেব ঠিকঠাক মেলাতে পারছিলেন না, তাই তাঁদের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গ্রাহকরা আরও অভিযোগ জানাচ্ছেন যে, গত তিনটে বছর ধরে ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে একই কথা বলা হচ্ছে। যখনই তাঁরা কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছেন, তখনই তাঁদের একই কথা জানানো হয়েছে। এদিকে ভুগছেন গ্রাহকরা। তাঁরা তাঁদের জমিয়ে রাখা টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। এই কারণেই এদিন তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হন।
আরও পড়ুন - WB Corona Case: টানা ১৫ দিন তিরিশের উপরেই করোনায় মৃত্যু, শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা
বেলঘড়িয়া কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড নামে সমবায় ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা, তা একেবারেই অস্বীকার করেছেন ব্যাঙ্কের সম্পাদক গৌরাঙ্গ নাগ। তিনি দাবি করেছেন যে, তিনি দায়িত্বে আসার পর দেখেন ব্যাঙ্কের দুজন কর্মী হিসেবে গরমিল করছেন। বিষয়টি জানতে পারা মাত্রই তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। গোটা বিষয়টা এখন আদালতে বিচারাধীন। তাঁর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এখন আদালত যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেই মতো তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন।