সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: জনবসতি এলাকায় উদ্ধার হল পচাগলা দেহ। উত্তর ২৪ পরগনায় অশোকনগর থানার হিজলিয়া এলাকায় অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার ভ্যাটের পাশ থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির পচাগলা মৃতদেহ। এলাকাটি হাবরা-নৈহাটি রোডের পার্শ্ববর্তী এলাকা। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান ওই এলাকায় বাইরে থেকে কেউ বা কারা দেহটি ফেলে গিয়েছে। 


কীভাবে উদ্ধার? 
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, দেহটি উল্টো করে কাদার মধ্যে মুখ ঢোকানো অবস্থায় পড়েছিল। স্থানীয় এক বাসিন্দা এদিন সকালবেলা ওই অবস্থায় দেহটি দেখতে পান। তারপরেই খবর দেওয়া হয় অশোকনগর থানায়। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।


মেলেনি পরিচয়:
দেহটি কার? তা সোমবার দুপুর পর্যন্ত জানা যায়নি। ওই ব্যক্তির পরিচয় এলাকায় কেউ জানতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, বেশ কয়েকদিন আগে মৃত্যু ঘটনায় দেহে পচন ধরে গিয়েছিল। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।    


আগের দিনই উদ্ধার দেহ:
উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরেই একটি মেস থেকে একদিন আগেই উদ্ধার হয়েছে এক কলেজ পড়ুয়ার দেহ। দেহের গলা ও দেহে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন মিলেছিল। খাটের নীচ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ক্ষতবিক্ষত দেহ। ১৯ বছরের নার্সিং পড়ুয়া উদ্ধব সরকার পড়তেন অশোকনগর নার্সিং ট্রেনিং কলেজে। পুলিশ সূত্রে খবর, অশোকনগর থানা এলাকার কচুয়ায় এই বাড়িতে মেস করে থাকতেন নিহত পড়ুয়া উদ্ধব সহ ৪ জন। ৪ জনেরই বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। ২ জন শনিবার বাড়ি চলে যান। মেসে ছিলেন উদ্ধব ও বিক্রম সরকার।  স্থানীয় সূত্রে দাবি, রবিবার সকালে বিক্রমকে মেসে তালা দিয়ে চলে যেতে দেখা যায়। তারপরে টানা ফোন করেও উদ্ধবের বাড়ির লোকজন তাঁকে পাননি। মোবাইল ফোন সুইচড অফ ছিল। তাঁরাই খবর দেন মেসের মালিককে। মেস মালিক পুলিশকে খবর দেওয়ার পর পুলিশ এসে দরজা ভেঙে খাটের নীচ থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। মেসের মালিকের দাবি, পড়ুয়াদের ব্যবহারের জন্য তিনি যে রেফ্রিজারেটর রেখেছিলেন, তার মধ্যে তাঁর একটি ছুরি ছিল। ঘটনার পর থেকে সেই ছুরি উধাও।


আরও পড়ুন: 'গুরুত্ব দেওয়া হয় না', ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত জেলা পরিষদ সদস্যের