সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : পরিবার বিজেপির (BJP) সমর্থক, তাই গালিগালাজ, প্রতিবাদ করায় প্রতিবেশী প্রৌঢ়াকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে সকালে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি তথা গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নিরুপম রায়ের বাড়ি ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটার মানিকহীরা দেশপাড়ায়।
অভিযোগ, প্রৌঢ়া কানন রায়ের পরিবার বিজেপিকে সমর্থন করায়, গতকাল গালিগালাজ করেন তৃণমূল কর্মী সমীর মল্লিক। প্রতিবাদ করায় ৬২ বছরের প্রৌঢ়াকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) কর্মীকে গ্রেফতার করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ। হামলা-যোগ অস্বীকার করেছেন যুব তৃণমূল নেতা। গোটা ঘটনা ঘিরে যথেষ্ট উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, যুব তৃণমূলের নেতার ইন্ধনেই ঘটেছে গোটা ঘটনা।
অভিযোগ, গতরাতে বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গালিগালাজ করছিলেন তৃণমূল নেতা। যা হুমকির পর্যায়ে পৌঁছতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ঘটনার প্রতিবাদ জানান ওই বিজেপি কর্মীর স্ত্রী ও মা। সেখানে তাঁদের দু'জনকেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাঁশের আঘাতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন ওই প্রৌঢ়া। যারপর প্রছমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা (Doctors) তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রৌঢ়ার মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা গ্রাম।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁদের কর্মীর পরিবারের লোককে খুন করা হয়েছে বলেই অবিযোগ তোলে বিজেপি। যারপরও নিরুপম রায়ের বাড়ি ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। বিক্ষোভ চলার মাঝেই সেখানে এসে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী, তারা ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। যার পাল্টা দাবি, ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। বরং নবজোয়ার যাত্রার সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঠাকুরনগরে যেভাবে হেনস্থার মুকে পড়তে হয়েছিল, তেমন পরিস্থিতিরই সম্মুখীন হয়ে হয়েছে তাঁকে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন