সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাকড়াও সোনা পাচারকারী। উত্তর ২৪ পরগনার মধুপুরের সীমা চৌকি থেকে সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছেন বিএসএফ জওয়ানরা। দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীন ৬৮ ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি মধুপুরের জওয়ানরা বৃহস্পতিবার ওই সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেন। 


কত সোনা উদ্ধার:
ওই দিন ২৫টি সোনার বিস্কুট-সহ এক পাচারকারীকে ধরা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা সোনার বিস্কুটগুলির মোট ওজন ২৯১৪ গ্রাম। সূত্রের খবর, এর আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকারও বেশি। 


সূত্রের খবর, একটি বিশেষ সূত্রে সোনা পাচারের খবর মেলে। তারপরেই ওই এলাকায় পৌঁছে যান কর্তব্যরত জওয়ানরা। সীমান্তের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেন জওয়ানরা। তাঁকে ধরে তল্লাশি করতেই তাঁর কোমরে বাঁধা অবস্থায় ২৫টি সোনার বিস্কুট পাওয়া যায়। তাঁকে নিয়ে আসা হয় চৌকিতে। বিএসএফ সূত্রের খবর, ধৃতের নাম আমির মন্ডল।  


 উল্লেখ্য যে সীমা চৌকি মধুপুরের জওয়ানরা সংবাদ পেয়েছিল যে এক চোরাকারবারী সোনার বিস্কুট নিয়ে ভারতীয় গ্রামে ঢুকতে চলেছে।  কর্তব্যরত জওয়ানরা অবিলম্বে নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে সীমান্তের রাস্তায় ঘোরাফেরাকারী সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করে।  জওয়ানরা তাকে তল্লাশি করলে তার কোমরে বাঁধা ২৫ টি সোনার বিস্কুট পাওয়া যায়।  এরপর জওয়ানরা পাচারকারীকে সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসে।  ধৃত পাচারকারীর পরিচয় - আমীর মন্ডল, জেলা উত্তর ২৪ পরগনা।


বিএসএফ সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারী আমির মন্ডল জানায়, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার চাঁদপুর গ্রামের আশাদুল মন্ডলের কাছ থেকে সে এই সোনার বিস্কুটগুলি নিয়েছিল। তারপর সে এই সোনার বিস্কুটগুলি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাদাপোতা গ্রামের বাসিন্দা পরেশের হাতে তুলে দিতে যাচ্ছিল। এই কাজের জন্য সে তিন হাজার টাকা পেয়েছে। আটক চোরাকারবারীকে আটক করার পরে সোনার বিস্কুট-সহ পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাস্টমস বিভাগ, বনগাঁর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


বিএসএফ-এর তরফে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী লোকদের কাছে আবেদন করা হয়েছে যে, যদি কোনও ভাবে তাঁদের কাছে তাঁদের এলাকায় সোনা চোরাচালান সম্পর্কিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে তাঁরা যেন দ্রুত বিএসএফের সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯-এ যোগাযোগ করতে পারেন। এ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তে আরও একটি নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭ চালু করা হয়েছে, যাতে চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ করে পাঠানো যাবে। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত আর্থিক পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হবে এবং খবর দেওয়ার ব্যক্তির পরিচয় সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখা হবে।


আরও পড়ুন: সাঁতার কাটার সময় কীভাবে চোখ রক্ষা করবেন ইনফেকশন থেকে? নজরে থাকুক সহজ কয়েকটি টিপস