কলকাতা: পুজো মিটতেই রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলির একাধিক জায়গায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করার ঘোষণা করল রাজ্য। জানানো হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায় ৫১টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হবে। হাওড়া পুর এলাকায় ঘোষিত হয়েছে ১৪টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন। হুগলিতে ৭২টি কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে জলপাইগুড়িতেও একাধিক জায়গায় কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। 


রাজ্যের ফের হাজারের পথে দৈনিক সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গতকালই হুগলি ও উত্তর চব্বিশ পরগনার বেশ কয়েকটি এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ পালনে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশও। 


পুজো মিটতেই ফের ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করেছে করোনা। হাজার ছুঁইছুঁই দৈনিক সংক্রমণ। এই প্রেক্ষাপটে নবান্নের নির্দেশে, কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকাকে। চলছে প্রচার। সেই সঙ্গে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ পালন করতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশও। কাল দিনভর চলেছে ধরপাকড়। 


গতকাল জানানো হয়েছিল হুগলির ১২টি ব্লকের, ২৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি ৮টি পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডকেও কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। করোনা সচেতনতা বাড়াতে এদিন মাস্ক বিলি করেন আরামবাগ পুরসভার প্রশাসক স্বপন নন্দী। রাস্তায় নেমেছিলেন উত্তরপাড়া পুরসভার প্রশাসকও। 


উত্তরপাড়া পুরসভার প্রশাসক দিলীপ যাদব জানিয়েছেন, আগের মতো তো নেই, বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে। যার করোনা হচ্ছে, পরিবারকে সাহায্য, বাড়িটাকে কেয়ার করছি। পুলিশকেও বলছি কড়াকড়ি। কাল ৮০ জনকে ধরে মাস্ক না পরার জন্য। উত্তর চব্বিশ পরগনার বারারাসাতের ৪ নম্বর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গোটা জেলায় ৫৬টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। 


পুজোর ক’টা দিন ছাড় দেওয়ার পরই ফের শুরু হয়েছে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরনো যাবে না। শনিবার রাত থেকে ওই বিধিনিষেধ ফের চালু হতেই, পুলিশি তৎপরতা নজরে পড়ছে কলকাতা জুড়ে। করোনাবিধি না মানার অভিযোগে বিডন স্ট্রিটে ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়। কড়াকড়ির ছবি ধরা পড়েছে পার্কস্ট্রিট ক্রসিংয়েও। করোনা সচেতনতা বাড়াতে এদিন জলপাইগুড়ি শহরে মাইক হাতে বেরিয়েছিলেন খোদ পুলিশ সুপার।